কলকাতা: মুকুল রায় পুরানো দল তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। তারপরই বিধায়ক পদ না ছাড়লে তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, বিজেপি প্রার্থী হিসেবে কৃষ্ণনগর উত্তর আসনের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মুকুল রায়। বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে ফিরলেও এখনও বিধায়ক পদে ইস্তফা দেননি মুকুল।  এদিন শুভেন্দু বলেছেন, ‘মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে সব প্রক্রিয়া শেষ। আজ বিধানসভার রিসিভ সেকশন বন্ধ ছিল।  কাল সকাল এগারোটায় ফের বিধানসভায় যাওয়া হবে। কালও রিসিভ সেকশন বন্ধ থাকলে অধ্যক্ষকে ইমেল পাঠানো হবে।’
এই প্রসঙ্গে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, এ ব্যাপারে শুভেন্দুর আগে উচিত তাঁর বাবা শিশির অধিকারীকে দলত্যাগ বিরোধী আইনের পাঠ দেওয়া। উল্লেখ্য, মুকুল রায় তাঁর ইস্তফা দানের বিষয়টি সিদ্ধান্ত দল নেবে বলে জানিয়েছেন। 
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়েছিল। ভোটের পর আবার উল্টো স্রোত। বিশেষ করে সপুত্র মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরতেই আরও তাঁর অনুগামী নেতাদেরও পুরানো দলে ফিরে আসার জল্পনা জোরদার হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বিধায়কও থাকতে পারেন বলে জল্পনা। এরইমধ্যে শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তিনি বিরোধী দলনেতা। দলত্যাগ বিরোধী আইন কীভাবে কার্যকর করতে হয়, তা তাঁর জানা আছে। 
উল্লেখ্য, গত সোমবার  দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে করে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে রাজভবনের খোলা বারান্দায় বৈঠক করেন জগদীপ ধনকড়।রাজভবনের বাইরে বেরিয়ে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরের দাবি জানিয়ে, মুকুল রায়ের উদ্দেশে সময়সীমা বেধে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন,  কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক আশা করব বুধবারের মধ্যে পদত্যাগ করবেন। নইলে রাজ্যপালের কাছে আবেদন করব। বিধানসভার অধ্যক্ষ ব্যবস্থা না নিলে আইনের দ্বারস্থ হব।
পাল্টা তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেছিলেন,  দলত্যাগ বিরোধী আইন কীভাবে প্রবর্তিত হবে, তার একটা নির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া আছে। রাজ্যপালের এক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা নেই। শুভেন্দু অবশ্য বলেছিলেন, রাজ্যপাল সংবিধানের কাস্টোডিয়ান। এর জবাবে রাজ্যপালকে বিজেপির এজেন্ট বলে আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ।