আমফানের পর, দীর্ঘদিন বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন ছিল উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা। এবার তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগেভাগেই প্রচুর লাইটপোস্ট মজুত করে রেখেছে বিদ্যুৎ দফতর। সেইসঙ্গে চলছে নদী-তীরবর্তী এলাকার বাঁধ মেরামতি।
বছর খানেক আগে হানা দিয়েছিল ভয়ঙ্কর আমফান। দুই ২৪ পরগনার উপকূল এলাকা ধ্বংস স্তূপের চেহারা নিয়েছিল। শুধু ঘরবাড়ি বা গাছ নয়, উপড়ে পড়েছিল একের পর এক লাইট পোস্ট। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ইলেকট্রিকের তার।
খাদ্য সঙ্কট, পানীয় জলের আকাল যখন চরমে, তারইমধ্যে বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা। দীর্ঘদিন আসেনি ইলেকট্রিসিটি। ইয়াস আছড়ে পড়ার পর, যাতে আগেরবারের মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তার জন্য এবার আগেভাগে তৈরি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
হিঙ্গলগঞ্জের যোগেশগঞ্জে প্রচুর লাইটপোস্ট মজুত করে রেখেছে বিদ্যুৎ দফতর। যাতে ঝড়ে লাইটপোস্ট উপড়ে গেলেই, দ্রুত নতুন বসানো যায়। নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার জন্য, মাইকে প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ।
মৎস্যজীবীদের নদীতে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাইক্লোন রিলিফ ক্যাম্পও। বিপর্যয় রুখতে রয়েছে এমনই একাধিক ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের তারের উপর পড়ে থাকা গাছের ডাল ছেঁটে ফেলার কাজ শুরু করেছে সিইএসসি কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এখন দিঘা থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। বুধবার দুপুরে আছড়ে পড়বে পারাদ্বীপ-সাগরের মাঝে বালেশ্বরে। পূর্ব মেদিনীপুরে সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টায় ১৮৫ কিমি। জেলা থেকে শহর, আগাম সতর্কতা হিসেবে প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
ইয়াস-আশঙ্কায় প্রহর গুণছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। বকখালি, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমায় গ্রামে গ্রামে গিয়ে সতর্কতামূলক প্রচার পুলিশ, এনডিআরএফের। ড্রোনে চলছে নজরদারি। নিরাপদ জায়গায় সরানো হচ্ছে স্থানীয়দের।
শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ক্রমশ উত্তাল হয়ে উঠছে সমুদ্র। দিঘা থেকে ৫৪০ কিমি দূরে ঘূর্ণিঝড়।রাত থেকেই কলকাতা-সহ উপকূলবর্তী এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া, দফায় দফায় বৃষ্টি। ব্ল্যাক স্টোন দিয়ে তাজপুরে জলোচ্ছ্বাস আটকানোর চেষ্টা।