কলকাতা: কোনও নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প না নিলে ব্যবস্থা। গরিবকে হয়রান করলে মনে রাখবেন লাইসেন্স বাতিলের অধিকার রাজ্যের।নদিয়ার রানাঘাটের সভা থেকে এভাবেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


এখন রাজ্যের সবাইকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিহোম। রেট কার্ড নিয়েও আপত্তি রয়েছে কয়েকটি হাসপাতালের। বকেয়া অর্থ ছয়মাসের মধ্যে মেটানোর মতো দাবিও রয়েছে। এরইমধ্যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা পরিষেবা দিতে নারাজ হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। এ কথা জেনেছেন মুখ্যমন্ত্রীও। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সবাইকে আশ্বস্ত করে মমতা বলেছেন, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প না নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, লাইসেন্স বাতিলের অধিকার রয়েছে রাজ্য সরকারের।

মমতা বলেছেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে প্রতি বছর পাঁচ লক্ষ টাকার চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যাবে।এই কার্ড বাড়ির সকলের জন্য।

মমতা বলেছেন, অনেক বড় বড় হাসপাতাল আছে, কখনও কখনও বলে দেয়, আমরা এখানে স্বাস্থ্যসাথী করব না। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে মিটিং করে বলে দিতে চাই যে, করতে হবে। সেইসঙ্গে আমরা জেলার ছোট ছোট নার্সিংহোমগুলোকে বলছি, স্বাস্থ্যসাথী নিতে হবে। যদি কেউ চিকিৎসা না দেয়, সরকারের হাতে কিন্তু লাইসেন্স বাতিল করার ক্ষমতা আছে। কোনওভাবেই গরিব মানুষকে হয়রানি করা চলবে না।

চিকিৎসার সুবিধা সংক্রান্ত কেন্দ্রের আয়ুষ্মাণ প্রকল্পেরও সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি নেতারা এই প্রকল্পের হয়ে সওয়াল করে থাকেন। মমতা বলেছেন,  ‘কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্পে শতকরা ৪০ টাকা দিতে হবে। কিন্তু রাজ্যের প্রকল্পে কোনও টাকা দিতে হয় না।স্বাস্থ্যসাথীতে শতকরা ১০০ শতাংশই দেয় সরকার। মমতা বলেছেন, এবার আপনারাই বলুন, কোন প্রকল্প বেশি ভাল।

এ ব্যাপারে বিজেপি নেত্রী তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প আসলে স্বাস্থ্য নিয়ে মানুষকে ভাঁওতা দেওয়া।দু-দিন মাসের তাপ্পি দেওয়ার জন্য এই প্রকল্প।অন্যদিকে, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প প্রত্যেকের জন্য বছরে পাঁচ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সারা ভারতজুড়ে এর সুবিধা পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানও রাজ্যের বাজেটে নেই বলে অভিযোগ করেছেন লকেট।