কলকাতা: নাট্যব্যক্তিত্ব স্বাতীলেখার সেনগুপ্তর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখেছেন, বিশিষ্ট অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। থিয়েটারে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু। সত্যজিৎ রায়ের ‘ঘরে বাইরে’ ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শক চিরদিন মনে রাখবেন।


মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ধর্মযুদ্ধ, বেলাশেষে, বরফ ইত্যাদি। তিনি সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড, ওয়েস্ট বেঙ্গল থিয়েটার জার্নালিস্টস' অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড-সহ বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর প্রয়াণে অভিনয় জগতে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হল। আমি স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের স্বামী রুদ্রপ্রসাদ ও কন্যা সোহিনী সেনগুপ্ত-সহ তাঁর অগণিত অনুরাগী ও আত্মীয় স্বজনকে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।


বুধবার সকালে চলে গেলেন অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। বুধবার কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া বাংলার সাংস্কৃতিক জগতে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।


নাট্যমঞ্চ এবং সিনেমা, দুই মাধ্যমেই তাঁর অভিনয় সম্বৃদ্ধ করেছে বাংলার শিল্পকলাকে। এলাহাবাদে নাট্যমঞ্চে তাঁর অভিনয়জীবন শুরু। ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী স্বাতীলেখা কলকাতায় আসার পর সাতের দশকের শেষদিকে যোগ দেন নাট্যদল নান্দীকারে। অভিনয়ের পাশাপাশি নাট্যমঞ্চে সঙ্গীতউপস্থাপনার গুরুদায়িত্বও তিনি নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন। 


পিয়ানো এবং বেহালা বাজানোয় পারদর্শিতা ছিল তাঁর। সত্যজিত রায়ের পরিচালনায় ‘ঘরে বাইরে’-তে বিমলার চরিত্রে তাঁর অভিনয় ভোলার নয়। নাট্যমঞ্চে পাঞ্চজন্য, বিপন্নতা, নাচনী, অযত্নবাস, পাতা ঝরে যায়-এর মতো বহু নাটকে তাঁর অভিনয় অবিস্মরণীয়। স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত অভিনীত বেলাশুরু এবং ধর্মযুদ্ধ ছবি দু’টি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। 


১৯৭০ সালে ইলাহাবাদে মঞ্চজীবন শুরু তাঁর। ১৯৭৮ সালে ‘নান্দীকার’ নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। সেখানে বেশ কিছু নাটকের সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। সেখানেই আলাপ ও প্রেমের সম্পর্ত তৈরি হয় নাট্যব্যক্তিত রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের সঙ্গে।  ভারতীয় নাট্যজগতে তাঁর অবদানের জন্য সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কারও পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। 'শঙ্খপুরের সুকন্যা', 'মাধবী', 'পাতা ঝরে যায়' এমন একের পর এক নাটতে তাঁর প্রতিভা প্রকাশ পেয়েছিল।  স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর প্রয়াণে শোকের ছায়া বাংলার সাংস্কৃতিক জগতে।