কলকাতা: যাঁরা সুবিধে ছাড়া থাকতে পারেন না, তাঁরাই ফিরে যেতে চাইছেন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে চাওয়া নেতাদের সম্পর্কে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের।


রবিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির হাটে প্রাতর্ভ্রমণে যান দিলীপ ঘোষ।  সেখানেই তৃণমূলে ফিরতে চাওয়া দলীয় নেতাদের সম্পর্কে কটাক্ষ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। দিলীপ বলেন, যাঁরা সুবিধে ছাড়া থাকতে পারেন না, তাঁরাই ফিরে যেতে চাইছেন।


পাশাপাশি, তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের দলে যোগদান হারের কারণ বলে মানতে চাননি বিজেপি রাজ্য সভাপতি। দল বড় করতে ওই নেতাদের নেওয়া হয়েছিল বলে তাঁর দাবি। 


প্রসঙ্গত, পুরনো দল তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে ক্ষমা গতকালই প্রার্থনা করেন মালদা জেলা পরিষদের সদস্যা। গতকাল বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেত্রী তথা মালদা জেলা পরিষদ সদস্য ডলিরানি মণ্ডল বলেন, তৃণমূলে ফিরতে চাইছি। ক্ষমাপ্রার্থনা চেয়ে তিনি বলেন, ভুল বুঝে ক্ষমা চাইছি, কাজ করার সুযোগ দিন, তৃণমূলে ফিরতে চাইছি। 


বিধানসভা ভোট শুরুর আগে ৮ মার্চ, বিজেপিতে যোগ দেন ডলিরানি মণ্ডল। এবার তিনিই পুরনো দলে ফিরতে চাওয়ায় বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। উত্তর এসেছে গেরুয়া শিবিরের তরফেও।


বিধানসভা ভোটের আগে ৩৭ আসন বিশিষ্ট মালদা জেলা পরিষদের তৃণমূলে সদস্য ছিলেন ২৯ জন। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন বিজেপিতে যোগ দেন। পরে ৮ জন জেলা পরিষদ সদস্য পুরনো দলে ফেরেন।  ভোটের ফল বেরনোর পর তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে এবার আবেদন করলেন আরও দু’জন। 


বিজেপির অভিযোগ, জোর করিয়ে দল বদলানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। মালদা বিজেপি জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, সবাই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন, তৃণমূল চাপ দিয়ে চলেছে, চিঠি জোর করে লেখানো হচ্ছে, মুখে বললও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।


যদিও শাসক দলের দাবি, মালদায় আরও ভাঙবে বিজেপি। মালদা যুব তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস বলেন, শুধু উনি নন, অনেকেই লাভ লোকসানের হিসেব বুঝতে বিজেপিতে যান, গোটা বিজেপি দলটাই ফাঁকা হয়ে যাবে, আগামী দিন লোকসভার দুটি সিটই তৃণমূল পাবে।


এই প্রথম নয়। বেশ কয়েকদিন ধরেই এই প্রবণতা চোখে পড়ছে। সোনালি গুহ থেকে শুরু করে দীপেন্দু বিশ্বাস, অমল আচার্য থেকে শুরু করে থেকে সরলা মুর্মু বা ধরিত্রীমোহন রায়---  বিধানসভা ভোটের মুখে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক পড়লেও, ফল ঘোষণার পর দলত্যাগীদের অনেকেই তৃণমূলে ফেরার আবেদন করেছেন।