বেলপাহাড়ি: প্রথমে ঝাড়গ্রামের বিনপুর, তারপর বেলপাহাড়ির কুলডিহা, একের পর এক জেলায় ক্রমশ ছড়াচ্ছে বাঘের আতঙ্ক। বিনপুর ও কুলডিহার বিভিন্ন অঞ্চলে মিলেছে বাঘের পায়ের ছাপ। তবে এখনও অবধি দেখা মেলেনি বাঘের।

বিনপুরের পাথরচাকড়ি গ্রামে প্রথম দেখা গিয়েছিল বাঘের পায়ের ছাপ। এরপর বাঘের আতঙ্ক ছড়ায় বেলপাহাড়ির কুলডিহা গ্রামেও। সেখানেও বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছে বলে দাবি বন দফতরের। বিনপুর থেকে বেলপাহাড়ির দূরত্ব ১৯ কিলোমিটার। বন দফতরের অনুমান, বিনপুরের পর উত্তর দিকে এগোচ্ছে বাঘ। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ঝাড়খণ্ড, পুরুলিয়া বা বাঁকুড়ার দিকে যেতে পারে বাঘটি।

আজ বেলপাহাড়ির কুলডিহা গ্রামে যখন বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গেছে বলে বনদফতর দাবি করেছে। কিন্তু আজ সকালেও বাঘ দেখা গেছে বলে দাবি করেছেন বিনপুরের পাথরচাকড়ির বাসিন্দারা।

বাঘ ধরতে পাথরচাকড়ি গ্রাম সংলগ্ন সাতবাঁকির জঙ্গলে খাঁচা পেতেছে বন দফতর। আর তার থেকে পাঁচশো মিটার দূরে এদিন বাঘের দেখা মিলেছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। এক বাসিন্দা জানান, ‘মুরগিগুলো ছুটে  বাড়ির দিকে আসছিল, আমার দেখে সন্দেহ হয়।  গিয়ে একটি ডোরাকাটা জন্তুকে দেখি। ওটা বাঘ, শিয়াল বা বেড়াল নয়। আমরা জঙ্গলে যাই,  তাই বাঘ চিনি।’ বাঘের দিকে ইট ছোঁড়ার পরেই তা চলে যায় বলে দাবি প্রতক্ষ্যদর্শীর। একই দাবি পাথরচাকড়ির বাসিন্দা পতিত কর্মকারেরও। মঙ্গলবার সকালে সাতবাঁকির জঙ্গলে জ্বালানি কাঠ আনতে গিয়ে পূর্ণ বয়স্ক বাঘের দেখা পান।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বন দফতরের কর্মীরা। সাতবাঁকির জঙ্গল সংলগ্ন ক্ষেতে বেশ কয়েকটি বাঘের তাজা পায়ের ছাপ দেখতে পান তাঁরা। বন দফতর সূত্রে দাবি, বাঘের সন্ধান পেতে সাতবাঁকি, লক্ষ্মণপুর, মালাবতীর জঙ্গলে ১০টি ক্যামেরা বসানো হবে। পাতা হবে ফাঁদও। ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ড,  পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন বনদপ্তর।