ঝাড়গ্রাম: হাতের মুঠোয় এসেও ফস্কে গেল রয়্যাল বেঙ্গল!পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলে ফের ব্যর্থ বাঘবন্দির চেষ্টা!!


শুক্রবার সকালে কোতোয়ালি থানার বাঘঘোড়া জঙ্গলে শিকার করতে যান বেশ কয়েকজন শিকারি। তাঁদের দাবি, জঙ্গলে ঢুকতেই আক্রমণ করে রয়্যালবেঙ্গল টাইগার।
বাঘের আক্রমণে রক্তাক্ত হন নন্দলাল সরেন, পাণ্ডা মুর্মু ও সুধন সরেন নামে ৩ শিকারি।
শিকারিদের দাবি, হামলার পর পালাতে গিয়ে বাঘটি একটি গর্তে পড়ে যায়। সঙ্গে থাকা জাল দিয়ে তাকে ঘিরে ফেলেন শিকারিরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। জাল ছিঁড়ে পালায় রয়্যাল বেঙ্গল।

ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় ছুটে যান বন দফতরের আধিকারিকরা।
মেদিনীপুর ডিভিশনের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা জানিয়েছেন, আহত শিকারিদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাঘের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
মাসখানেক আগে লালগড়ের জঙ্গলে বন দফতের ক্যামেরা ট্র্যাপে প্রথম ধরা পড়ে বাঘের ছবি। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম থেকে বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে বাঘের আতঙ্ক। পাতা হয় খাঁচা.... ওড়ানো হয় ড্রোন।
কিন্তু বাঘবন্দি করা যায়নি।
আদিবাসীদের দাবি, শুক্রবার অল্পের জন্য হাতছাড়া হল বাঘ!

জঙ্গলের মধ্যে গর্তে রয়্যাল বেঙ্গল। ঘিরে ফেলা হয়েছে জাল দিয়ে....।
তার পরেও কী করে পালাল সে?এই প্রশ্নে     গ্রামবাসী ও বন দফতরের মধ্যে শুরু তীব্র চাপানউতোর।

গ্রামবাসীদের দাবি, বাঘটিকে দেখা গিয়েছে বেলা ১২টা নাগাদ। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। অন্যদিকে, বন দফতরের দাবি, তারা খবর পায় দুপুর ১টায়। সঙ্গে সঙ্গেই এলাকায় যান বনকর্মীরা।
গ্রামবাসীদের দাবি, চাঁদড়া বিট থেকে বনকর্মীরা ২টো নাগাদ আসেন এলাকায়। লালগড় রেঞ্জ অফিস থেকে জাল ও বন্দুক নিয়ে বিশেষজ্ঞরা আসেন ৩টে নাগাদ।
মাস খানেক ধরে যে বাঘকে খাঁচাবন্দি করার জন্য চেষ্টার অন্ত নেই, শুক্রবার তাকে ঘণ্টা তিনেক বাগে পেয়েও ধরা গেল না।
কার ভুলে করা গেল না বাঘবন্দি? চলছে চাপান-উতোর।