সমীরণ পাল, টিটাগড়: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তপ্ত টিটাগড়ের মোহনপুর পঞ্চায়েতের চক কাঁঠালিয়া এলাকা। তৃণমূল সমর্থককে মারধর, পার্টি অফিসের সামনে গুলি চালানোর অভিযোগ। তিনটি দোকানেও চলে ভাঙচুর।


ঘটনার সূত্রপাত গতকাল রাতে। তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর অভিযোগ, জমি দখল ও এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত কয়েকজন বিজেপি কর্মী সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়ে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে। প্রতিবাদ করায় এক তৃণমূল সমর্থককে মারধর করা হয়। পাল্টা তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে এসে কয়েকজন দুষ্কৃতী কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। আক্রান্তদের অভিযোগ, ব্যারাকপুর পুরসভার প্রশাসক ও তৃণমূল নেতা উত্তম দাসের অনুগামীরাই হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে, এই ঘটনার কথা জানা নেই বলে দায় এড়িয়েছেন পুর প্রশাসক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলেও গুলি চলার কথা স্বীকার করেনি পুলিশ। 


ভোটের আগে, ভোটের পরে এ দল থেকে ও দল। এই শিবির বদলানো নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঝেমধ্যেই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে দুই দলকে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ের মোহনপুর পঞ্চায়েতের চক কাঁঠালিয়ায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন কয়েকজন। অভিযোগ, তাদের সঙ্গে তৃণমূলের পুরনো কর্মীদের কোন্দলের জেরে মঙ্গলবার রাতে ব্যাপক অশান্তি পাকে। যার জেরে তৃণমূল কর্মীকে মারধর। এমনকী, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের সামনেই গুলি চালানোর অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে। পার্টি অফিসের সামনেই তৃণমূল সমর্থকদের কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর চলে।


মোহনপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য লাল্টু দাসের দাবি, ‘নির্বাচনের আগে যারা বিজেপির সঙ্গে ছিল, তারা উত্তম দাসের মদতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, এলাকায় জমি দখল এবং অসামাজিক কাজকর্ম করছে, এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করায় মারধর করে।’


যদিও, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মদত দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ব্যারাকপুরের পুর-প্রশাসক উত্তম দাস। তাঁর দাবি, ‘ব্যারাকপুরের কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত, কী হয়েছে জানি না, আমি কাউকে মদত দিইনি।’


টিটাগড়ের চক কাঁঠালিয়ায় এলাকায় আদৌ গুলি চলেছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।