কলকাতা, শিলিগুড়ি: বিরোধী শিবিরে ভাঙন অব্যাহত। দলবদলের জেরে এক দিনে ৩টি পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিল তৃণমূল। কলকাতা ও শিলিগুড়ি পুরসভাতেও বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরিয়েছে তারা।

বর্ষার মতোই বিরোধী রাজনৈতিক দলেও ভাঙন অব্যাহত। দ্বিতীয় ইনিংসে ক্ষমতায় এসে মালদা, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ দখলের পর এবার তৃণমূলের নজরে পঞ্চায়েত সমিতি। বৃহস্পতিবার, কংগ্রেস ও বাম শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে তিনটি পঞ্চায়েত সমিতি নিজেদের দখলে নিয়ে নিল তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং, জলপাইগুড়ি সদর এবং ডায়মন্ডহারবার ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি।

মুর্শিদাবাদ বাদ দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের যে পঞ্চায়েত সমিতিটি কংগ্রেসের দখলে ছিল সেটি হল এই সবং। যে সবং অনেক দিন ধরেই কংগ্রেসের শক্ত গড় বলে পরিচিত। সেই সবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমল পাণ্ডা-সহ ২৩ জন সদস্য এ দিন জার্সি বদলে তৃণমূলে নাম লেখালেন। সবং পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন সংখ্যা ৩৯। তৃণমূলের ছিল ১৪। কংগ্রেসের ২৩। বামেদের ২। এ দিন তেইশজনই কংগ্রেস সদস্যই দল বদলে নাম লেখালেন তৃণমূলে। ফলে এখন তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা হয়ে গেল ৩৭ এবং বামেদের ২।

সিপিএমের ঘর ভেঙে ডায়মন্ডহারবার ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিও দখলে নিল তৃণমূল। ডায়মন্ডহারবার ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ২৪। সিপিএমের ছিল ১৪। তৃণমূলের ১০। এ দিন সিপিএমের ৬ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এর জেরে তৃণমূলের এখন সদস্য সংখ্যা, ম্যাজিক ফিগার ১৩ ছাপিয়ে হয়ে গেল ১৬। সিপিএমের ৮।

জলপাইগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ৪১। এ দিন শাসক দলে যোগ দেন সিপিএমের ১১, আরএসপির ২, ফরওয়ার্ড ব্লকের ১ ও কংগ্রেসের ৩ সদস্য। এর ফলে ম্যাজিক ফিগার ২১-এ পৌঁছে গিয়ে পঞ্চায়েত সমিতিটি দখল নিয়ে নিল তৃণমূল।

এ ছাড়াও এ দিন শিলিগুড়ি পুরসভাতেও বিরোধী শিবিরে ফাটল ধরিয়েছে শাসক দল। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ, ফরওয়ার্ড ব্লকের দুর্গা সিংহ নাম লেখালেন তৃণমূলে।

শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্যর গলায় অবশ্য পাল্টা হুঁশিয়ারি।

শুধু শিলিগুড়ি নয়, কলকাতা পুরসভাতেও এ দিন বাম শিবিরে ফাটল। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফরওয়ার্ড ব্লকের সামিমা রেহান খান এ দিন জার্সি বদলে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।