কলকাতা: দাদা মানস ভুঁইয়াকে নিয়ে ছিল হাজারো জল্পনা। তারই মাঝে জার্সি বদলে তৃণমূলে যোগ দিলেন তাঁর ভাই বিকাশ ভুঁইয়া। বিকাশ ভুঁইয়া ছিলেন কংগ্রেসের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি এবং জেলা পরিষদের সদস্য।


বিকাশ ভুঁইয়ার পাশাপাশি এ দিন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন সবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমল পাণ্ডাও। যা জেলা কংগ্রেসের কাছে ধাক্কা বলেই মত পর্যবেক্ষকদের একাংশের। কারণ, নানা প্রতিকূলতার মধ্যে সবং বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বার বার যে ভাবে ভোটে জিতেছেন মানস, তার নেপথ্যের প্রধান দুই কারিগর বলে ধরা হয় বিকাশ ভুঁইয়া ও অমল পাণ্ডাকে। দুজনেই নাম লেখালেন তৃণমূলে। তা হলে কি এবার তৃণমূলের পথে মানসও? এই জল্পনা অবশ্য অনেক দিন ধরেই চলছে। যা গতি পেয়েছে, কংগ্রেস নেতৃত্বের অমতে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে মানসের অনড় অবস্থান। এবার ভাই ও একদা ডানহাতও তৃণমূলে। এবার কি তা হলে মানসের পালা? জল্পনা বাড়িয়ে সবংয়ের কংগ্রেস বিধায়কের প্রশংসা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

নতুন করে জল্পনা উস্কে দিয়েছেন খোদ মানস ভুঁইয়াও। তাঁর বক্তব্য, অনেকে বলছেন, অধীর-মান্নানরা যে বা দল চালাচ্ছে, তাতে তো আপনিই থাকতে পারছেন না, বাকিরা কীভাবে থাকবে।

বিরোধীরা অবশ্য নৈতিকতার প্রশ্ন তুলছে। তাদের প্রশ্ন, তৃণমূল একা ২১১’র পরেও কেন এ ভাবে বিরোধীদের ঘর ভাঙতে কোমর বেঁধে নেমেছে। তৃণমূলের পাল্টা বক্তব্য, কংগ্রেস প্রধান বিরোধী দল হয়েও নিজেদের ঘরেই তো দিন-রাত অশান্তি। এমনকি এ দিনও অধীর চৌধুরী, মানস ও তাঁর ভাইকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।

পাল্টা সরব হয়েছেন মানসও। তাঁর ভাইয়ের দলবদলের নেপথ্যে তিনি কার্যত অধীর-মান্নানদের দিকেই আঙুল তুলেছেন।

পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, প্রধান বিরোধী দলের মধ্যে এরকম তুতু-ম্যায় ম্যায় পরিস্থিতিরই ফায়দা তুলছে তৃণমূল।