কলকাতা: ফের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গড়ে ভাঙন। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ ও পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা বিরোধীদের থেকে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল।


বাম সমর্থিত নির্দল থেকে শুরু করে কংগ্রেস ও ফরওর্য়াড ব্লকের ১১ সদস্য যোগ দেওয়ায় জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা দখল করল তৃণমূল।

সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূল ভবনে দলত্যাগী কাউন্সিলরদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বললেন, মুর্শিদাবাদ তো রাজ্যের বাইরে নয়। গোটা রাজ্যে উন্নয়ন হচ্ছে। তাই মুর্শিদাবাদের জনপ্রতিনিধিরাও সামিল হচ্ছেন।

জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার নিয়ন্ত্রণ ছিল বাম সমর্থিত নির্দলদের হাতে।

১৭টি আসনের মধ্যে সিপিএমের দখলে ছিল ৫টি আসন, বাম সমর্থিত নির্দলের দখলে ছিল ৬টি, ফরওয়ার্ড ব্লক ২ এবং কংগ্রেস ৪। তৃণমূলের হাতে একটিও আসন ছিল না।

সোমবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, ১১ জন কাউন্সিলর। তাঁদের মধ্যে সিপিএমের ৩ জন, ফরওর্যাড ব্লকের ২ জন এবং ৬ জন নির্দল কাউন্সিলর।

ফলে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার ১৭টি আসনের মধ্যে এখন, তৃণমূলের দখলে ১১ টি আসন, কংগ্রেসের ৪ টি, সিপিএম ২।

কিন্তু ভোটারের সমর্থন না পাওয়া স্বত্তেও যেভাবে একের পর এক পুরসভার দখল নিচ্ছে তৃণমূল সেটা কি গণতান্ত্রিক পক্রিয়ার অনুকূল? প্রশ্ন বিরোধীদের। জবাব দিয়েছেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ভোটর সময় এঁদের নিয়েই মানুষের কাছে যাব।

অন্যদিকে, বিধানসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের উপনেতা নেপাল মাহাতোর গড়ে ধস নামিয়ে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভারও দখল নিয়েছে তৃণমূল।

১২ সদস্যের পুরসভার মধ্যে ৭ জনই সোমবার যোগ দেন তৃণমূলে। ৯ জনের মধ্যে কংগ্রেস ছেড়ে এলেন ৪ জন। ২ জন এলেন নির্দল থেকে। একজন ফরওর্য়াড ব্লক থেকে।

ফলে ঝালদা পুরসভার ১২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের দখলে থাকল মাত্র ৫টি আসন।

এর আগে কংগ্রেস পরিচালিত কালিয়াগঞ্জ পুরসভার পর বামেদের হাত থেকে জঙ্গিপুর পুরসভা ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। গত ২১ জুলাই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির শ্যালক তথা মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অরিত মজুমদার।

এবার জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভাও দখল করে নিল তৃণমূল।