কলকাতা: সল্টলেকে তৃণমূলের উদ্যোগে পুরোহিত সম্মেলনের আয়োজনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা। ৫১ জনকে সংবর্ধনা জানানো নিয়ে শুরু রাজনীতি। বিজেপির অভিযোগ, তোষণের রাজনীতির তকমা ঘোচাতেই এই উদ্যোগ শাসক শিবিরের। রাজনীতির বিষয়ই নয়, পাল্টা দাবি তৃণমূলের।

সল্টলেকের ইজেডসিসিতে বিজেপির মহিলা মোর্চা ও কালচারাল সেলের উদ্যোগে চলছে দুর্গাপুজোর আয়োজন। শনিবার সেখান থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে এই পুরোহিত সম্মেলন করল তৃণমূল।  অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রাজ্যের দমকলমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা সুজিত বসু। ৫১ জন পুরোহিতকে সংবর্ধনা জানিয়ে পৈতা, নামাবলী দেওয়া হল। পুরোহিতদের প্রতিক্রিয়া, ভাল লাগছে। আগে কেউ এমনটা করেনি, এটা ভাল উদ্যোগ। বিধাননগর  ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের  কো অর্ডিনেটর নির্মল দত্ত বলেন, আমি তো সবথেকে বড় হিন্দু। তাই ব্রাহ্মণদের সম্মানের জন্য এই আয়োজন।

সেপ্টেম্বরেই রাজ্যের  সনাতন গরিব ব্রাহ্মণ পূজারীদের জন্য মাসিক এক হাজার টাকা ভাতা ঘোষণা করেছিলেন  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর সরকারের মন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতায় পুরোহিত সম্মান প্রদান অনুষ্ঠান, বিধানসভা ভোটের আগে যাকে অস্ত্র করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধর্ম নিয়ে রাজনীতির অভিযোগে সরব বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় সরাসরি মুসলিম তোষণের উল্লেখ না করে কটাক্ষ করেন, তৃণমূল এতদিন একটি বিশেষ পক্ষকে সমর্থন করছে। তার ফল পেয়েছে। এবার তাই সেই তকমা ঘোচাতে এসব করছে।

যদিও এই অভিযোগে গুরুত্ব  না দিয়ে  দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু পাল্টা বলেন, মমতা সরকার আগেই বলেছে, পুরোহিত ভাতা দেওয়া হবে। তার আগে সুন্দর অনুষ্ঠান। আমরা পুজোর মধ্যেই থাকি। এরা পিছিয়ে পড়া। গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এটা রাজনীতির বিষয় নয়। তৃণমূল-বিজেপি যখন একে অপরের বিরুদ্ধে ধর্মের নামে রাজনীতির অভিযোগে সরব, তখন দু’দলকে একযোগে নিশানা করেছে বামেরা।

এই তরজার মাঝেই এদিন জলপাইগুড়ি শহরে তৃণমূলে যোগ দেন ১৮৭ জন পুরোহিত। যা নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। জলপাইগুড়ি যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, আগে আরএসএসের ছত্রছায়ায় ছিলেন এঁরা, কিন্তু কোনওদিন কিছু পাননি। যদিও  পাল্টা মুখ খুলেছেন বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী।

সব মিলিয়ে দুর্গাপুজোর মুখে পুরোহিতদের নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।