কলকাতা: গুলি-মন্তব্যের জেরে অস্বস্তি বাড়ল বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের। তাঁর বিরুদ্ধে জোড়া এফআইআর দায়ের তৃণমূলের। উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা থানায় একটি এফআইআর করেছেন হাবরা শহর তৃণমূলের সভাপতি সীতাংশু দাস। অন্যদিকে, রানাঘাট থানায় দিলীপ ঘোষের হুমকির প্রেক্ষিতে আরেকটি এফআইআর করেছেন কৃষ্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক স্থানীয় তৃণমূল নেতা। গত রবিবার নদিয়ায় এক সভা থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেছিলেন যে, “যাঁরা হিংসা ছড়িয়েছে গুলি করে মেরেছে বিজেপি সরকার। কুকুরের মতো গুলি করে মেরেছে অসম-উত্তরপ্রদেশ সরকার। এ রাজ্যেও ক্ষমতায় গুলি করব, লাঠি মারব, জেলে ঢুকিয়ে দেব”। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিক্ষোভে হিংসার ঘটনা সম্পর্কেই এভাবে হুঙ্কার দিয়েছিলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ।
কিন্তু এই মন্তব্যের জেরে ঘরে -বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েন দিলীপ। দলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় টুইট করে বলেছেন, ‘এক ব্যক্তি দিলীপ ঘোষ যা বলেছেন, তার সঙ্গে দল হিসাবে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। দিলীপদার এই মন্তব্য অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন। উত্তরপ্রদেশ এবং অসমের বিজেপি সরকার কখনও কোনও কারণেই মানুষকে গুলি করার পন্থা নেয়নি। এটা ওঁর অলীক কল্পনা।’ এর পরেও তাঁর অবস্থানে অনড় দিলীপ। গতকাল তিনি বলেন, 'আমার যা মনে হয়েছে বলেছি, পশ্চিমবঙ্গেও সুযোগ পেলে তা করব।’

নাম না করে দিলীপের মন্তব্যের সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। সিপিএম এবং কংগ্রেসেও দিলীপের গুলি-মন্তব্যের নিন্দায় সরব হয়েছে।
এফআইআর দায়েরের পর দলের রাজ্য সভাপতির পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল-সিপিএমকে পাল্টা জবাব দিয়েছ নদিয়ার স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।দলের স্থানীয় এক নেতা বলেছেন, বিরোধীরা অযথা ভ্রান্ত ধারনা ছড়াচ্ছে।
দিলীপ ঘোষের হুমকি নিয়ে তৃণমূল নেতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।