কলকাতা: ফের কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরোধিতায় রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। মোদীর ভাষণে ‘না’  রাজ্যের তৃণমূল সরকারের।এবার বিতর্ক প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ দেখানো নিয়ে। আগামী সোমবার, সকাল সাড়ে দশটায়, দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। উপলক্ষ্য, বিজেপি নেতা দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মশতবার্ষিকি এবং স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার ১২৫তম বর্ষপূর্তি। অনুষ্ঠানের থিম ‘ইয়ং ইন্ডিয়া, নিউ ইন্ডিয়া’।


প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ দেখানোর জন্য আইআইটি, আইআইএম-সহ দেশের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উদ্দেশে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ইউজিসি। আর্জি জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে টিভি বা প্রজেক্টর লাগিয়ে নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ দেখাতে। ছাত্র ও শিক্ষকরা যাতে মোদীর ভাষণ শোনেন তার জন্য উৎ‍সাহিত করতে।

যা একেবারেই মানতে রাজি নয় তৃণমূল সরকার। ইউজিসির এই বিজ্ঞপ্তির পিছনে তারা রাজনীতি দেখছে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিশানা করেছেন গেরুয়া শিবিরকে। বিবেকানন্দের সঙ্গে দীনদয়াল উপাধ্যায়কে কেন জুড়ে দেওয়া হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।  তিনি বলেছেন, 'এ তো তুঘলকি সিদ্ধান্ত। শিক্ষায় গৈরিকীকরণের চেষ্টা। রাজ্যের সঙ্গে কোনও কথা বলা হল না। চিঠি দিয়ে দেওয়া হল ভিসিদের। আমরা এ সব হতে দেব না। দীনদয়াল ও বিবেকানন্দকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। এটা মানতে পারি না'।

শিক্ষামহলেরও অনেকেই, ইউজিসির এই বিজ্ঞপ্তির সমালোচনায় সরব।

বিজেপি অবশ্য ইউজিসির বিজ্ঞপ্তিতে আপত্তির কিছু দেখছে না। তারা পাল্টা তৃণমূলের দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'সিঙ্গুর আন্দোলন পাঠ্যুসূচিতে তুললে সেটা সবুজায়ন নয়, আর দীনদয়াল নিয়ে বললে গেরুয়া। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা টাকা দিই। আমাদের কথা শুনতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে কেন্দ্র টাকা দেয়। তা হলে কেন্দ্রের কথা তাদের শুনতে হবে'।

পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, মোদীর ভাষণ দেখানো নিয়ে আপত্তি জানিয়ে তৃণমূল সরকার আরেকবার বুঝিয়ে দিল, মোদী সরকারের বিরোধিতায় সুর চড়াতে, তারা কোনও ইস্যুই হাতছাড়া করতে রাজি নয়।