কলকাতা: বিজেপির স্বর্ণযুগ নিয়ে অমিত শাহর মন্তব্যের জবাব দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কটাক্ষ, আগে তাম্রযুগ, রৌপ্যযুগ, লৌহযুগ পেরোক তারপর তো স্বর্ণযুগ।
শনিবারই ভুবনেশ্বরে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বার্তা দেন, এখনও বিজেপির স্বর্ণযুগ আসেনি। বাংলা, কেরল, ওড়িশায় জিততে হবে।
কিন্তু, এসব বার্তায় গুরুত্বই দিতে নারাজ তৃণমূল। তাদের পাল্টা কটাক্ষ, বিজেপির আশা আপাতত পূরণ হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই।
এদিন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, স্বর্ণযুগ বলছেন। আশা করতেই পারেন। তামার যুগ, ব্রোঞ্জের যুগ হয়ে পেরোতে হবে। এগোতে হলে সংগ্রামের ইতিহাস দরকার।
দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বিজেপি অবশ্য বেশ রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, যে দক্ষিণ কাঁথিতে বিজেপি মাত্র ৮.৭৬% ভোট পেয়েছিল, এবার সেই কেন্দ্রেই উপনির্বাচনে ৩০.৯৭ শতাংশে ভোট পেয়ে তারা দ্বিতীয়।
রাজ্য বিজেপির দাবি, তৃণমূল মুখে যাই বলুক, এই ফল তাদেরও চাপে ফেলেছে। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, যে যার মতো বলতে পারে। আমরা আমাদের কাজ করছি। বাকিরা চাপে। বিজেপিকে বাদ দিয়ে আলোচনা হচ্ছে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতির আরও দাবি, কেন্দ্রীয় নেতারাও পশ্চিমবঙ্গের ওপর বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন। বলেন, সভাপতি পশ্চিমবঙ্গে দু’বার যাবেন। বুথ স্তর পর্যন্ত যাবেন। এছাড়া প্রতি মাসে কেউ না কেউ যাবেন।
তৃণমূলের পাল্টা দাবি, তারা এসব নিয়ে এতটুকু উদ্বিগ্ন নন। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি বাংলা জয়ের লক্ষ্যে কোমর বাঁধলে, তিনিও হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রীর বাইট। ওরা বাংলা দখলের চেষ্টা করলে, আমি দিল্লি টার্গেট করব। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও শোনা গিয়েছে কার্যত এক সুর। বলেন, আমাদের কোনও চিন্তা নেই। আমাদেরও টার্গেট দিল্লি।
বছর গড়ালেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। এখন সময় যত গড়াবে, তৃণমূল-বিজেপি লড়াইয়ের পারদ ততই চড়বে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।