কলকাতা : মুকুল রায়ের নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার করা হল। তিনি ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেতেন। তৃণমূলে যোগ দিয়েই তিনি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়তে চেয়ে চিঠি পাঠান। এখন তিনি রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা পাচ্ছেন। কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কের আবেদনের ভিত্তিতে তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহারের জন্য CRPF-কে নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।


বঙ্গ বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়ে ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে সম্প্রতি তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। তৃণমূল ভবনে তাঁদের উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল। মুকুলকে স্বাগত জানিয়ে বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


তৃণমূলে ফেরার পরেই মুকুল রায়কে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। এরপরই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেড়ে দেন তৃণমূল নেতা। গত শুক্রবার রাতেই তৃণমূল নেতার কাঁচরাপাড়ার বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয় রাজ্য পুলিশ। এরপর মুকুল রায়ও জানান, তিনি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেড়ে দিয়েছেন। যদিও তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে তখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশ ছিল না বলে জানা যায়। মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুও তখন জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়ার জন্য চিঠি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পর আজ তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হল।


প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের ল্যান্ডস্লাইড ভিকট্রির পর থেকেই, ভোটের আগে দলবদল করে বিজেপিতে যাওয়া নেতারা একে একে আবার তৃণমূলের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন। শুক্রবার তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন মুকুল রায়। পাশাপাশি শাসকদলে ফিরে আসার আর্জি জানিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন আরও অনেকে। অন্যদিকে দলে ভাঙন রুখতে সক্রিয় হয়েছে বিজেপিও। দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, আমি বিরোধী দলনেতা, আমি দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করব।


পাল্টা শাসকদল মনে করিয়ে দিয়েছে, তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে জিতে সাংসদ হয়েও, বিজেপির মঞ্চে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী ! তা সত্ত্বেও তৃণমূল থেকে ভোটের আগে বিজেপিতে যাওয়া একাধিক নেতা বেসুরো রয়েছেন। এঁদের মধ্যে কারও কারও তৃণমূলের প্রত্যাবর্তনের জল্পনা শুরু হয়েছে।