বৃহস্পতিবার রাত তখন সাড়ে ৮টা। চায়ের দোকানে বসেছিলেন তৃণমূল নেতা। হঠাৎই বোমাবাজি!টার্গেট যে তিনিই বুঝতে দেরি হয়নি। অভিযোগ, চায়ের দোকান থেকে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে রাস্তায় ফেলে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় তৃণমূল নেতাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সামাদ আলির।
নেপথ্যে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে দাবি, হাড়োয়ার তৃণমূল বিধায়ক শেখ হাজি নুরুল ইসলামের সঙ্গে দলেরই ব্লক সভাপতি শম্ভুনাথ ঘোষের অনুগামীদের বিবাদ দীর্ঘদিনের। আর মৃত সামাদ আলি ছিলেন বারাসাত ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শম্ভুনাথ ঘোষের অনুগামী। সামসাদের ভাইপো মোতালেব আলি, শেখ হাজি নুরুল ইসলামের অনুগামী। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, ভেড়ির টাকা নিয়ে দু’জনের বিবাদ দীর্ঘদিনের।
তাহলে কি ভাগ বাটোয়ারা জেরেই কি খুন? যদিও যথারীতি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। মোতালেব-সহ কয়েকজনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। খুন, বিস্ফোরক ও অস্ত্র আইনের ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে থমথমে শাসন।