সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি : রাজনৈতিক সৌজন্যের এক নজির। আরএসপির পার্টি অফিস পুনরুদ্ধারে এগিয়ে এলেন তৃণমূল বিধায়ক। আরএসপির চিঠি পেয়ে হুগলির চুঁচুড়ায় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতি বিজড়িত অফিস উদ্ধারে পদক্ষেপ তাঁর। সোমবার পুর প্রশাসককে নিয়ে তিনি যান অফিস চত্বরে। পার্টি অফিসের সামনে রাতারাতি পাঁচিল তোলার অভিযোগ আরএসপির। পাল্টা তাদের বিরুদ্ধে ঘরভাড়া না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আরএসপি-র চিঠি পেয়ে বিপ্লবীদের স্মৃতিধন্য পার্টি অফিস ফেরাতে তৎপর হন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। হুগলির চুঁচুড়ায় ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাধবীতলা ব্যারাক রোডে আরএসপির ওই পার্টি অফিস। দীর্ঘদিনের অফিসের সামনে রাতারাতি পাঁচিল গেঁথে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ আরএসপির।অফিস উদ্ধারে তৃণমূল বিধায়ককে চিঠি দিয়েছেন আরএসপির হুগলি জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কিশোর সিং।
হুগলি আরএসপি-র সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কিশোর সিং বলেছেন, ' ওরা ভাড়ার কথা বলেনি পার্টি অফিস বাঁচাতে টাকা দিতে হলে দেওয়া হবে।' এদিকে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেছেন, 'আরএসপি তৃনমূলের বিরোধী দল হলেও তাদের সঙ্গেও যদি অন্যায় হয় তা বরদাস্ত করা হবে না। কিছু সমস্যা থাকলে তার জন্য আইন আছে । দলমত নির্বিশেষে সাহায্য করব আমরা।'
চিঠিতে বলা হয়েছে, পার্টি অফিস বন্ধ করে পাঁচিল গেঁথে দেওয়া হয়েছে। এখানে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের গোপন মিটিং হত। মাস্টার দা সূর্য সেনও এসেছেন এই অফিসে। স্বাধীনতা সংগ্রামের দস্তাবেজ রয়েছে একটি আলমারিতে। পরে আরএসপি অফিস করে। বিধানসভা নির্বাচনের সময় নিয়মিত খোলা হয়েছে অফিস। থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। ঐতিহাসিক মূল্যের জন্য পার্টি অফিস বাঁচাতে এই আর্জি।
ওই পার্টি অফিস যে বাড়িতে সেই বাড়ির মালিক নরেশ ঘোষের দাবি, ২০১৪ সাল থেকে বাড়ি ভাড়া পাননি। আরএসপি নেতৃত্বকে বলা হয়েছিল ইট, চুন- সুরকির ঘর খুব খারাপ অবস্থায় আছে। ওরা কান দেয়নি। পরে অবশ্য স্থানীয় বিধায়কের মধ্যস্থতার পরে পাঁচিল ভেঙে দেওয়ার আশ্বাস দেন নরেশ ঘোষ।
তৃণমূলের হাত ধরে স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতি জড়িত পার্টি অফিস বাঁচবে, আশা করছে আরএসপি।