সাতগাছিয়া: বিজেপি নেতারা সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে বারবার ‘ভাইপো’ প্রসঙ্গ টেনে আনছেন। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, নাম না করে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকেই আক্রমণ করছেন বিজেপি নেতারা। আজ সাতগাছিয়ার সভা থেকে সেই আক্রমণেরই জবাব দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, ‘সবার আক্রমণের লক্ষ্য এখন ভাইপো। বিজেপি নেতারা একটাই কথা বলছেন, ভাইপো। সব দলের নেতারাও বারবার বলছেন ভাইপো। ভাইপো বললেও, কারও নাম নেওয়ার সাহস নেই। কেউ আমার নাম নিতে সাহস পায়না। নাম ধরে আক্রমণ করলে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি। তাই এখন আর কেউ নাম নিচ্ছে না। বুকের পাটা থাকলে নাম নিয়ে আক্রমণ করুন। আমি নাম করে বলছি দিলীপ ঘোষ গুন্ডা। আমি নাম করে বলছি কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত। ক্ষমতা থাকলে আমার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন।’

অভিষেক আরও বলেছেন, ‘আপনাদের আশীর্বাদ নিয়েই একুশের লড়াই। ডায়মন্ড হারবারের মাটি থেকে শুরু একুশের লড়াই। তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচন লড়তে জানে, লড়ে নেব। একটি প্রতিশ্রুতিও পূরণ করেনি বিজেপি। কারও কোনও অসুবিধা থাকলে আমাকে বলুন। আমাকে জানান, কেউ দোষ করে থাকলে জেলে ঢোকাব। মানুষের উন্নয়নের সঙ্গে কোনও আপস নয়। পুলওয়ামাকে হাতিয়ার করে ভোট করেছিল বিজেপি। লাদাখ নিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।’

নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাতারাতি তৈরি হননি। তৃণমূলে কেউ রাতারাতি নেতা হননি। তৃণমূলে কেউই প্যারাশুটে নামেনি, লিফটে ওঠেনি। লিফটে উঠলে আমিও একগুচ্ছ পদের অধিকারী হতাম। প্যারাসুটে নামলে দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী হতাম। তৃণমূল মা, মায়ের সঙ্গে বেইমানি নয়। স্বার্থের জন্য মায়ের সঙ্গে কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করলে আপনারা কি ছেড়ে দেবেন? বিশ্বাসঘাতকতা করলে তৃণমূলকর্মীরা কড়ায় গণ্ডায় জবাব দেবে।’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেছেন, ‘মমতা আর মোদি কী করেছেন, তথ্যের লড়াই হোক। ধর্ম ও নকল দেশপ্রেম নিয়ে রাজনীতি মানুষ বুঝে গেছে। বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির জবাব উন্নয়নের রাজনীতি। দলকে আমাদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে।’