আশাবুল হোসেন ও কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেসে এবার এক ব্যক্তি, এক পদ। ৬ মন্ত্রীকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। একাধিক জেলা সভাপতি বদল করা হয়েছে। একই জেলাকে সাংগঠনিক ভাগে ভাগ করা হয়েছে।


বিধানসভা ভোটে জয়ের হ্যাটট্রিকের পরই, দলে এক ব্যক্তি, এক পদ কার্যকরের নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ফর্মুলা অনুযায়ী মন্ত্রীদের সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দিল তৃণমূল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মলয় ঘটক, পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ, পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র, হাওড়া সদরের তৃণমূলের চেয়ারম্যান অরূপ রায়, হাওড়া গ্রামীণের জেলা সভাপতি পুলক রায়কে সরাল দল। নদিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদে মহুয়া মৈত্র ও মালদার জেলা সভাপতি মৌসম নুরকেও অব্যাহতি দিল তৃণমূল কংগ্রেস। 


সংগঠনে শুধু মন্ত্রীদের অব্যাহতি দেওয়াই নয়, লোকসভা ভোট ও পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়ার জেলা সভাপতি বদল করল তৃণমূল।


তৃণমূলের সাংগঠনিক পদে রদবদলের পাশাপাশি, একই জেলাকে সাংগঠনিকভাবে ভাবে ভাগ করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনাকে দমদম-ব্যারাকপুর, বারাসাত, বসিরহাট ও বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা, মুর্শিদাবাদকে বহরমপুর, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা, দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে ডায়মন্ডহারবার-যাদবপুর ও সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলা এবং পূর্ব মেদিনীপুরকে কাঁথি ও তমলুকে ভাগ করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরকে মেদিনীপুর ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা, হুগলিকে আরামবাগ ও হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা, নদিয়াকে নদিয়া দক্ষিণ ও নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা এবং বাঁকুড়াকে বিষ্ণুপুর ও বাঁকুড়া জেলায় ভাগ করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ও জাতীয় মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, ‘২০২৪-এর লোকসভা ভোটের লক্ষ্যে সংগঠনে রদবদল করা হল। এর ফলে দল আরও শক্তিশালী হল।’


তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক রদবদলে গুরুত্ব পেয়েছেন তাপস রায়। বরানগরের তৃণমূল বিধায়ককে উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি করা হয়েছে। দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হয়েছেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতি হয়েছেন কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে প্রাক্তন বিধায়ক উদয়ন গুহকে। তবে তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে জায়গা পাননি প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, গৌতম দেব ও তপন দাশগুপ্ত।