কলকাতা: আজ তৃণমূলের ২১শে জুলাইয়ের শহিদ দিবস। করোনা পরিস্থিতিতে এবারও ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সর্বভারতীয় স্তরে তাঁর বার্তা পৌঁছে দিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল নেত্রীর বক্তৃতা শোনানো হবে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত-সহ একাধিক রাজ্যে।
বাংলার পাশাপাশি হিন্দিতেও বক্তৃতা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ অন্যান্য ভাষায় সাব টাইটেলের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।
বুধবার বেলা ১২টায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে একটি অনুষ্ঠানে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হবে। সেখানে থাকবেন সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো সিনিয়র নেতারা।
দুপুর ১টায় কালীঘাটের বাড়ি থেকে ভার্চুয়াল বক্তৃতা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এবং রাজ্যের প্রতিটি বুথে জায়ান্ট স্ক্রিনে শোনানো হবে তৃণমূল নেত্রীর বার্তা।
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই কলকাতার রাজপথে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন ছিলেন রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী। সেই থেকে প্রতিবছর ২১ জুলাই দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে তৃণমূল।
তৃণমূলের শহিদ দিবস উপলক্ষে ট্যুইট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, ১৯৯৩ সালে এই দিনে যে ১৩ জন শহিদ হয়েছিলেন, তাঁদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা। আজ দুপুর ২টোয় শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ভার্চুয়াল সভায় যোগ দেওয়ার জন্য সকলকে আমন্ত্রণ। অমানবিক অত্যাচার যারা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে তৃণমূল জোর গলায় আওয়াজ তুলবে।
শহিদ দিবসে ট্যুইট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিযেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, ১৯৯৩-এর সেই যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতি এখনও টাটকা। তত্কালীন সরকারের অমানবিক নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছিলেন ১৩ জন কর্মী। কোনওদিনও তা ভোলা যাবে না।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ট্যুইটে জানিয়েছেন, তিনি আজ লখনউয়ে শহিদ দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।
এদিকে, বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূলের ২১ জলাই পালন নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় স্তরে নেতা হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তৃণমূল আগে যেসব রাজ্য শাখা খুলেছিল সেগুলোই তো গুটিয়ে গেছে।