কলকাতা:  আলিপুরদুয়ারে বিজেপির রাজ্য সভাপতির কনভয়ে হামলার ঘটনা রাজ্য-রাজনীতির উত্তাপ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল আর বিজেপির সংঘাত চরমে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন তুলে চলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে অনেকেরই প্রশ্ন, তবে কি বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সম্ভাবনা আছে? এই নিয়ে এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে চাঁচাছোলা বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ' আমরা নীতিগতভাবে বিরোধী, পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। '

পাল্টা উত্তরপ্রদেশ-দিল্লির বিভিন্ন ঘটনার কথা তুলে ধরে বিজেপিকে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন , 'রাষ্ট্রপতি শাসন - জারি করতে গেলে আগে উত্তরপ্রদেশে করুন, বিজেপি শাসিত ওই রাজ্যে এনকাউন্টারে মারা হয়, গণধর্ষণ হয়, দলিতরা অত্যাচারিত, দিল্লিতে দাঙ্গায় ৫২ জন মারা গেছে, যেখানে এসব হচ্ছে সেখানে হওয়া উচিত, বাংলাকে নিয়ে রাজনৈতিক অপপ্রচার চলছে, রাজনৈতিক স্বার্থ, ৩৫৬ কখনও এখানে হবে না, কারণ এখানে শান্তি রয়েছে। '

গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকে বাংলায় শতাধিক বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগে সরব গেরুয়া শিবির। জল গড়িয়েছে দিল্লি পর্যন্ত। এই ইস্যুতেও দু’পক্ষের সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। দিলীপ ঘোষ দাবি করেন,  খুন জখমের রাজনীতির মধ্যেই বিজেপি এগোচ্ছে, তাঁদের উপর প্রতিনিয়ত হামলা হচ্ছে, ১২৫ জন বিজেপির কর্মী-সমর্থক মারা গেছেন। এই প্রসঙ্গে দিলীপের বক্তব্যকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করে ফিরহাদ বলেন, 'আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি দেখিয়ে দেব কে রাজনৈতিক কারণে মরেছে, কে কীসে মারা গেছে।'

গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় অভাবনীয় ফল করেছে বিজেপি। এবার তাদের টার্গেট বাংলার বিধানসভা। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ২০০ আসনের টার্গেট বেধে দিয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে কেন্দ্রের শাসক দলের বিরোধ চরমে। দিলীপ ঘোষের আত্মবিশ্বাসকে ব্যাঙ্গ করেই পুরমন্ত্রী বলেন, 'দিলীপ বাবু স্বপ্ন দেখছেন, স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত না হয়, বাংলার মানুষ ওদের চায় না, মানুষ ওঁদের সঙ্গে নেই, শেষ ৩টে উপনির্বাচনে তো হেরেছে, বোঝাই যাচ্ছে মানুষ কাদের সঙ্গে আছে, কী চায়?'