কলকাতা: চারদিকে জঙ্গল। দিনের বেলাতেও যেখানে ছমছম করে ওঠে গা! তার মধ্যে এক ফালি জায়গায় রটন্তী কালী মন্দির। মাঘ চতুর্দশীতে ধুমধাম করে হয় রটন্তী কালীর পুজো। ভূত চতুর্দশীতেও পুজো হয় এখানে। কারণ, কথিত আছে, কার্তিক অমাবস্যাতেই এই কালীর পুজো করত রঘু ডাকাত!


রঘু ডাকাত নেই। কিন্তু এখনও লোকমুখে ফেরে তার হাড় হিম করা কাহিনি! সে সবই এখন রূপকথা। কেতুগ্রামের অট্টহাসের সব রূপকথাই যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে কালীপুজোর রাতে।
শোনা যায়, প্রায় দুশো বছর আগে রঘু ডাকাত নদিয়া থেকে ব্রিটিশ পুলিশের তাড়া খেয়ে কেতুগ্রামের অট্টহাসের জঙ্গলে ডেরা বেঁধেছিল। শাস্ত্রমতে, এখানে সতীর ওষ্ঠ পড়েছিল। তাই এই সতীপীঠের নাম অট্টহাস। এই জঙ্গলেই রঘু ডাকাত শুরু করেছিল কালীপুজো। কালীপুজোর পর বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমানে অবাধে লুটপাট চালাত সদলবলে।

সেই থেকেই রঘু ডাকাতের কালী বলে পরিচিত দেবী। পুজো হয় ধুমধাম করে। এককালে হত নরবলি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছে রীতিনীতি। কিন্তু দেবীর সঙ্গে আজও জুড়ে আছে রঘু ডাকাতের নাম। পুরোহিত মহেন্দ্রশঙ্কর গিরি জানালেন, এই পুজো রঘু ডাকাতের হাত ধরে। গভীর জঙ্গলে রঘু ডাকাত পুজো করে বেরাত। বিশেষ দিনে রঘু ডাকাতের নামে পুজো।

শোনা যায়, কার্তিক-অমাবস্যার রাত ফুঁড়ে সদলবলে উদয় হত রঘু ডাকাত।  এলাকার প্রবীণদের মুখে মুখে এখনও ঘুরে বেড়ায় সেই সব হাড়হিম করা কাহিনি।সে সবই এখন রূপকথা। কেতুগ্রামের অট্টহাসের সব রূপকথা যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে কালীপুজোর রাতে।