ভোটের ফল ঘোষণার পর রাজ্যজুড়ে যখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের ওপর হামলার অভিযোগ, তখন কয়েকটি জায়গায় আবার আক্রান্ত শাসকই।
পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডিতে তৃণমূলকর্মী খুনের অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বাঘমুন্ডিতে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন জোট প্রার্থী নেপাল মাহাত। ফল ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বিজয় মিছিল বের করে কংগ্রেস। লক্ষ্মণ প্রামাণিক নামে এক তৃণমূলকর্মী মিছিলে পটকা ফাটানোয় বাধা দিলে, তাঁকে বেধড়ক মারধর করে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তৃণমূলকর্মী লক্ষ্মণের।
ঘটনায় বরুণ সিং মুড়া নামে এক কংগ্রেসকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও, ধৃত কংগ্রেস কর্মীর দাবি, তিনি এই ঘটনায় জড়িত নন।
কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী নেপাল মাহাত অবশ্য জানিয়েছেন, দলের কেউ এই ঘটনায় জড়িত থাকলে, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বীরভূমের নানুরেও জোটের জয়ের পর এক তৃণমূলকর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগ, শুক্রবার সকালে তাঁদের দলের কর্মীদের ওপর হামলা চালায় সিপিএম। চালানো হয় গুলি। গুলি লাগে বুরহান শেখ নামে এক তৃণমূলকর্মীর পাঁজরে। তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নানুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক গদাধর হাজরার দাবি, এখানে জোট জয়ী হলেও, কীর্ণাহারের তিনটি অঞ্চলে তারা ভাল ফল করতে পারেনি। সেই আক্রোশ থেকেই হামলা। সিপিএম অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শাহজাদাপুরে তৃণমূলকর্মীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসইউসি-র বিরুদ্ধে। শাসক দলের অভিযোগ, দীর্ঘ ৪০ বছর পরে আসনটি হাতছাড়া হওয়ায় এসইউসি কর্মীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও, এসইউসি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।