মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাঁকসা: নির্মাণের পর দু’বছর পার। তাও ব্যবহার করা যাচ্ছে না সরকারি শৌচাগার। পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় এই শৌচাগারের একাংশ দখল করে পার্টি অফিস খুলে বসার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।


বিষয়টি নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। পশ্চিম বর্ধমানের বিজেপি জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুইয়ের মন্তব্য, ‘সরকারি প্রকল্পের টাকায় তৈরি জনগণের শৌচাগারে দলীয় কার্যালয় তৈরি করেছে তৃণমূল। এখানে তো দল আর সরকার মিলে মিশে এক হয়ে যাচ্ছে।’

২০১৮ সালে কাঁকসার আড়রা মোড়ে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে তৈরি হয় এই শৌচাগার। তারই একাংশে নীল-সাদা রং করে বানিয়ে ফেলা হয়েছে তৃণমূল কার্যালয়। কিন্তু কেন? এই নিয়ে আজব যুক্তি খাড়া করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশ। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী প্রভাত বাউরির বক্তব্য, ‘প্রশাসন ও নেতৃত্বকে জানিয়েই পার্টি অফিস তৈরি করে এখান থেকে কাজ করছি। এখান থেকে এলাকাবাসীদের জন্য উন্নয়নমূলক কাজকর্মই করা হয়। সরকারি প্রকল্পের টাকা দিয়ে যাতে ঠিকমতো কাজ হয় সেই জন্যই এখানে আমরা কার্যালয় তৈরি করে সব কাজ পরিচালনা করছি।’

কিন্তু সরকারি প্রকল্পের কাজ কেন পরিচালনা করবে দল? কীভাবেই বা সরকারি শৌচাগারের একাংশে পার্টি অফিস তৈরি করা হল? প্রশ্নের মুখে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত। মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পীযূষ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের উপর তো কেউ কোনও দলের কার্যালয় তৈরি করতে পারেন না। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জটিলতা কাটিয়ে কবে চালু হবে সরকারি শৌচাগার? প্রশ্ন এলাকাবাসীর।