কালনা: প্রণয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল একরত্তি মেয়েটা!


তাই নিজের হাতে তার জীবন শেষ করে দিতে হাত কাঁপেনি মায়ের!!

নজর ঘোরাতে দেহ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন হাসপাতালে.... কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি...।  কালনায় মৃত শিশু সহ গ্রেফতার মা।।

ধৃতের নাম রুমা সাঁতরা। বছর ৩২-এর ওই মহিলা থাকতেন কালনার মধুবন এলাকায়।

পুলিশ জানতে পেরেছে, বছর তিনেক আগে স্বামী মারা গিয়েছে রুমার। তারপর থেকে কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করতেন। বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন মায়ের বাড়ির কাছে। এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে ছোট মেয়ে নিবেদিতা থাকত রুমার কাছে। বাকি দুই সন্তান রুমার মায়ের কাছে।

পরিবার সূত্রে খবর, স্থানীয় বেলেরহাটের বাসিন্দা, পেশায় লরিচালক এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে রুমার।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, বাড়িতে এক যুবক প্রায়ই আসত... আমরা ভাবতাম স্বামী.... এখন শুনছি অন্য কেউ

পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ওই যুবককে বিয়ে করে নতুন করে সংসার করতে চেয়েছিলেন রুমা। কিন্তু রুমার শিশুকন্যাকে নিয়ে আপত্তি ছিল যুবকের। রুমার মা-ও ছোট নাতনির দায়িত্ব নিতে চাইছিলেন না। পুলিশের অনুমান, সেজন্যই এদিন সকালে শ্বাসরোধ করে ছোট মেয়েকে খুন করেন রুমা।

পুলিশ সূত্রে খবর,  এদিন সকালে তিন বছরের মেয়ের দেহ নিয়ে কালনা হাসপাতালে যান রুমা। চিকিত্সকদের দাবি, মহিলা বলেন, খেলতে গিয়ে খাট থেকে পড়ে আহত হয়েছে, কথা বলছে না মেয়ে।

সন্দেহ হওয়ায় ময়নাতদন্ত করার কথা বলেন চিকিত্সকরা।

এরই মধ্যে হাসপাতাল থেকে গা ঢাকা দেন ওই গৃহবধূ। কালনা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস ধরে পালানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে একটি বাসের মধ্যে থেকে মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় শিশুর দেহ।

দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে তরুণীর মা সিদ্ধেশ্বরী মণ্ডলকে।