অভিজিতের মায়ের দাবি, পুত্রবধূ সাবিত্রী উঠোনে ত্রিশূল পুঁতে তন্ত্রসাধনা করতেন। কিন্তু, গত অমাবস্যায় যা ঘটে, তা তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি। অভিযোগ, রাতে অভিজিৎকে স্নান করান সাবিত্রী।
উঠোনে পোঁতা ত্রিশূলের পাশে স্বামীকে শুইয়ে তাঁর বুকের ওপর বসেন।
তারপর তাঁর ঠোঁট কামড়ে রক্তাক্ত করে সেই রক্ত চুষে খেতে শুরু করেন। অভিযোগ, এরপর থেকেই অভিজিৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
রবিবার তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, অভিজিতের রক্তাল্পতা রয়েছে। তাঁকে তিন বোতল রক্ত দেওয়া হয়। কিন্তু, তারপরও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
প্রতিবেশীদের দাবি, তাঁরাও গভীর রাতে সাবিত্রীকে নাচের তালে হেঁটে বেড়াতে দেখেছেন। কেউ কিছু বললে তিনি নাকি বলতেন, আমি ডাকিনী। আমাকে আটকালে সবার রক্ত চুষে খেয়ে নেব।
সাবিত্রী অবশ্য এতকিছুর পরও নির্বিকার। তাঁর দাবি, শ্বশুরবাড়ির দোষ কাটাতেই নাকি তিনি এসব করতেন।
রবিবার সাবিত্রীর বাপের বাড়ির লোকেরা এলে গ্রামবাসীরা তাঁদের ঘরে আটকে মারধর করে বলে অভিযোগ। শেষমেশ পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে। তাঁকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তর ঘর থেকে খুলি, লাল কাপড়ে জড়ানো আঙুল মিলেছে বলে গ্রামবাসীদের দাবি।