ফেরিঘাট দখল নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, বোমাবাজির অভিযোগ খানাকুল

মঙ্গলবারের পর বুধবার। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল হুগলির খানাকুল।

Continues below advertisement

খানাকুল: ফেরিঘাট দখল নিয়ে বিবাদের জের। তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে ব্যপক উত্তেজনা ছড়াল হুগলির খানাকুল। উঠেছে বোমাবাজির অভিযোগও। ঘটনায় জখম হয়েছেন দু-পক্ষের বেশ কয়েকজন। সবমিলিয়ে সংঘর্ষ ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।

Continues below advertisement

মঙ্গলবারের পর বুধবার। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল হুগলির খানাকুল। সংঘর্ষে জখম হয়েছেন এক বিজেপি কর্মী। অন্যদিকে তৃণমূল কর্মীদেরও মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেলে মুচিঘাটা ফেরিঘাট দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে গোলমাল শুরু হয়। যার রেশ গিয়ে পড়ে পাশের বলপাই এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, মঙ্গলবার নীলরতন হাজরা নামে তাঁদের এই কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল। গুরতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার সকালে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপি। লাঠি নিয়ে চলে মারপিট। একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে দুই পক্ষই। উঠেছে বোমাবাজির অভিযোগও। এক তৃণমূল কর্মীর দোকানের চাল রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় বলেও খবর। দোকান মালিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। 

আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি বিমান ঘোষের কথায়, ' কালকেই আমাদের একজন কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানাই। আজ নিজেদের দোষ চাপা দেওয়া জন্য নিজেরাই গণ্ডগোল পাকিয়ে আমাদের নামে দোষ দিচ্ছে।' বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই দফায় দফায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে খানাকুল। ঘটেছে প্রাণহানিও। তবু সংঘর্ষ থামার বালাই নেই।

এর আগেও হুগলির  খানাকুলে ভোট-পরবর্তী হিংসার খবর প্রকাশ্যে আসে। ৭ এপ্রিল রাতে খানাকুল বাসস্ট্যান্ডে বিজেপি  সমর্থকদের দোকান ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে। একটি বাসেও ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি সমর্থকরা। আরামবাগ-রামনগর রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola