কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার পঞ্চম আসনে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন তৃণমূলের। নজরুল মঞ্চে দলের কোর কমিটির সভায় ঘোষণা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় পঞ্চম আসনে কংগ্রেস প্রার্থী হচ্ছেন অভিষেক মনু সিংভি। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসের তরফে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। সোমবার মনোনয়ন পেশ।
নিজেরা প্রার্থী না দিয়ে বামেদের সমর্থন করা হবে, এমন প্রস্তাব খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীই দিয়েছিলেন। কিন্তু, কংগ্রেসের সমর্থন নিতে সিপিএম নারাজ। তাই নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে প্রদেশ কংগ্রেস।
পাঁচটি আসনে নির্বাচন হচ্ছে বাংলায়। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় আসন সংখ্যার নিরিখে চারটি আসনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। কংগ্রেস এবং বামেরা যদি আলাদা না লড়ে যৌথ প্রার্থী ঘোষণা করত, তা হলে পঞ্চম আসন শাসক দলের হাতের বাইরে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু, সমঝোতা হয়নি। সেজন্য কংগ্রেস নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে। এই অবস্থায় এদিন মমতা জানিয়েছেন, চারটি আসনে প্রার্থী দেবে তৃণমূল। নাদিমুল হক, শুভাশিস চক্রবর্তী, আবির বিশ্বাস, শান্তনু সেন হবেন তৃণমূল প্রার্থী। কিন্তু পঞ্চম আসনে তাঁরা কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করবেন। এতে সিংভির রাজ্যসভায় যাওয়াটা কার্যত নিশ্চিত হল। সেই সঙ্গে মমতার কুশলী চালে কংগ্রেস ও বামেদের সম্পর্কে ফাটল আরও চওড়া হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পক্ষান্তরে কংগ্রেস কাছাকাছি আসবে তৃণমূলের।  সেইসঙ্গে জাতীয় পর্যায়ে বিজেপিকেও কড়া টক্করের বার্তা দিয়ে রাখলেন মমতা। তিনি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়বে তৃণমূল। এরইমধ্যে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থনের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোর ইঙ্গিত তৃণমূল নেত্রী দিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।


অধীর চৌধুরী বলেছেন, কংগ্রেসের অবস্থান হল, 'আমরা আমাদের প্রতীকে লড়ব। তাতে কেউ যদি সমর্থন করে তো করবে। জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে'।

এদিকে, রাজ্যসভার পঞ্চম আসনে বামফ্রন্ট প্রার্থী করছে রবীন দেবকে। ফলে কংগ্রেস ও বাম প্রার্থীর মুখোমুখি লড়াই নিশ্চিত হল।