আসানসোল: তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে আসানসোলের জামুড়িয়ায় তুলকালাম! আর সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুলি লাগল নিরীহ ব্যক্তির! মার খেতে হল মহিলাদেরও।
কী নিয়ে এই গণ্ডগোলের সূত্রপাত? তৃণমূল সূত্রে দাবি, সম্প্রতি, তৃণমূলে যোগ দেন কেনারাম মাস্টার নামে এক বিজেপি কর্মী। তাঁকে অঞ্চল সভাপতি নিয়োগ করেন জামুড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধিতা করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাপস চক্রবর্তী। এই নিয়েই সংঘর্ষে জড়ায় দুই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা।
শনিবার রাত থেকে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। রবিবার পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। শুরু হয় গুলি থেকে বোমাবাজি। এদিন সকালে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন পরিতোষ মণ্ডল নামে এক নিরীহ গ্রামবাসী। তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে। দুই গোষ্ঠীর সমর্থকদের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ।
আসানসোল শিল্পাঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি ভি শিবদাসান জানিয়েছেন, সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। পুলিশে রং না দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, দুই দলের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে কেন গুলিবিদ্ধ হতে হল নিরীহ গ্রামবাসীকে? কেন এভাবে আইন নিজেদের হাতে তুলে নেবে তৃণমূল কর্মীদের একাংশ?
গত ২১ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই বার্তা দিয়েছিলেন, মানুষের বিরুদ্ধে কোনও কাজ বরদাস্ত করব না। কিন্তু, খোদ দলনেত্রীর এই স্পষ্ট বার্তার পরও সেই সাধারণ মানুষকেই কেন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ের মাঝে পড়ে রক্তাক্ত হতে হচ্ছে? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।