কলকাতা: শুভেন্দুর সঙ্গে গোপন বৈঠক নিয়ে অনুমান খারিজের চেষ্টা করছেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তুষার মেহতার বৈঠকের অভিযোগ সংক্রান্ত বিতর্কে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 


উল্লেখ্য,   সলিসিটর জেনারেলের পদ থেকে তুষার মেহতার অপসারণ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল।নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী কীভাবে সলিসিটর জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন? এই প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন তৃণমূলের তিন সাংসদ।  ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায় এবং মহুয়া মৈত্রের তরফে মোদিকে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে। 


বৃহস্পতিবার দিল্লিতে গিয়ে শুভেন্দু সলিসিটর জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি ট্যুইট করে বলেছিলেন যে, নারদ কেলেঙ্কারির এফআইআর-এ  নাম থাকা অভিযুক্ত ব্যক্তি সিবিআইয়ের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার সঙ্গে বৈঠক করেলেন কেন? বিজেপি মধ্যস্থতা করে বাঁচাচ্ছে? অবিলম্বে সেই অভিযুক্তের গ্রেফতার চাই।"


এদিন শুভেন্দু ও তুষার মেহতা দুজনেই বলেছেন, দিল্লিতে তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়নি।তুষার মেহতা বলেছেন, গতকাল না জানিয়ে শুভেন্দু আমার বাড়িতে এসেছিলেন। আমার কর্মীরা তাঁকে অপেক্ষা করতে বলেন। আমার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী ছিল। পরে আমার কর্মীরা জানান যে, আমি দেখা করতে পারব না। তিনি এরপর জোরাজুরি না করেই চলে যান। 
অন্যদিকে, শুভেন্দুও বলেছেন, তুষার মেহতার সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়নি।


এরই প্রেক্ষাপটে অভিষেক ট্যুইট করে বলেছেন, ‘শুভেন্দু তাঁর (তুষার মেহতা) বাড়িতে ছিলেন কিনা তখনই এটা সামনে আসবে, যখন তুষার মেহতা সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনবেন। অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই কি সলিসিটর জেনারেলের সঙ্গে বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু ? তুষার মেহতার দফতরের কর্মীদের উপস্থিতিতে যান শুভেন্দু অধিকারী। সলিসিটর জেনারেলের দফতরের কর্মীদের উপস্থিতিতে বাসভবনে যান শুভেন্দু। তুষার মেহতার বাসভবনে ৩০ মিনিট ছিলেন শুভেন্দু। এরপরেও কি মনে হবে বৈঠক হয়নি ? সব সত্য সামনে আসুক’।


এর আগে কুণাল ঘোষ বলেন, "শুভেন্দু অধিকারী  দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন, এরপর নারদ মামলায় সিবিআইয়ের  আইনজীবী তুষার মেহতার সঙ্গে বৈঠক করতে গেলেন। বিরোধী দলনেতার সঙ্গে সলিসিটর জেনারেলের কী সম্পর্ক থাকতে পারে? এটা স্পষ্ট যে , নিজের গ্রেফতারি এড়াবার জন্য কী কী কৌশল হতে পারে বিজেপিকে তা মধ্যস্থতা করে সাজিয়ে দিচ্ছে। আইনের কী কী ফাঁক তৈরি করা যাক সেই জন্য শুভেন্দু অধিকারী সলিসিটর জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করলেন কিনা, এটা সবথেকে বড় প্রশ্ন। এই  মামলায় বাকি অভিযুক্তদের হয়রানি  করা হলেও শুভেন্দু অধিকারীকে কীভাবে আইনের ফাঁক দিয়ে বাঁচিয়ে আনা যায় তার চেষ্টা হচ্ছে কি না সেই ব্যাপারেই আমি প্রশ্ন তুলেছি।