দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  পরপর দু’টি কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় বধূকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। মা-কে বাঁচাতে এলে ইটের ঘায়ে বড় মেয়ের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
আহত গৃহবধূর নাম সবিতা দাস। তাঁর বড় মেয়ে এবার উচ্চমাধ্যমিক দেবে। তিন বছর আগে ফের কন্যাসন্তানের জন্ম দেন সবিতা। তাঁর দাবি,
দু’টি মেয়ে হওয়ার পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে তাঁর ওপর নির্যাতন চরমে ওঠে।
সবিতার দাবি, সোমবার তাঁর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। তখন শ্বশুর, শাশুড়ি, দেওর মিলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। বড় মেয়ে বাঁচাতে এলে ইট দিয়ে মেরে তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
গৃহবধূর চাঞ্চল্যকর দাবি, ৫-৬ মাস আগে তাঁর বড় মেয়েকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টাও হয়। তিনি বলেন, এরা চায় না মেয়ে হোক। চায় ছেলে হোক। আমার কী করার আছে? এদের কাছে মেয়ের কোনও দাম নেই। সবই তো সমান।
মা-কে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে বড় মেয়ে। কিন্তু, বোন হওয়ায় মা কেন মার খেল, সেটা সে বুঝতে পারছে না। সোনারপুর থানায় শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেওরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত গৃহবধূ। অভিযুক্তরা এখনও পলাতক।