সমীরণ পাল, ব্যারাকপুর (উত্তর ২৪ পরগণা) : মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে জোড়া বোমাবাজির ঘটনায় কেঁপে উঠল ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকা। বুধবার গভীর রাতে নোয়াপাড়ার ঘোষপাড়া রোডের পিনকল মোড়ের কাছে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। আর ভোরের আলো ফোটার আগেই ভাটপাড়ার রামনগর কলোনিতে বোমাবাজি হয়। একটি বাড়ি লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা বোমা ছোড়ে। দুষ্কৃতীদের দাপিয়ে বেড়ানোর ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। উত্তর ২৪ পরগণার এই জোড়া বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্কে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। জোড়া বোমাবাজির ঘটনা ঘটলেও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
নোয়াপাড়ার পিনকল মোড়ের বোমাবাজির ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, অটোয় চড়ে যাওয়ার সময় ছোঁড়া হয় বোমাটি। একটি রেশন দোকানের সামনে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। যার পরে দুষ্কৃতীরা ঘোষপাড়া রোড ধরে ব্যারাকপুরের দিকে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে, ভাটপাড়া এলাকায় স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বোমাটি গিয়ে লাগে একটি বাড়ির কাচে। পুলিশের দাবি, বোমাটি যে বাড়ির কাচ লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল তা ভাঙলেও ফাটেনি। কিন্তু বোমা পড়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে যথেষ্ট আতঙ্ক তৈরি হয়। বৃহস্পতিবার সকালে, ঘটনাস্থল থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে খতিয়ে দেখছে নোয়াপাড়া ও ভাটপাড়া থানার পুলিশ। কী ধরণের বোমা ব্যবহার করা হয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই নোয়াপাড়া-ভাটপাড়া এলাকায় একের পর এক বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। ভোটের আগে থেকে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের জেরে উত্তর ২৪ পরগণার যে অঞ্চল ছিল যথেষ্ট উত্তপ্ত। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদের বাড়ির আশেপাশে দিনে দুপুরে গুলি চলার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ভোট পরবর্তী সময়েও একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেই চলেছে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগাযোগ নেই। এলাকা দখলের লড়াই ঘিরে যা ঘটেছে। যার জেরেই ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় চালানো হচ্ছে তল্লাশি। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য একটাই দাবি, যাতে এই ধরণের দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য কমিয়ে দ্রুত এলাকায় শান্তি ফেরানো হয়।