শনিবার সন্ধে সাতটা পঞ্চান্ন। হাওড়া-বর্ধমান মেইন লাইনের, শ্রীরামপুর স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল আপ তারকেশ্বর লোকাল। একই সময় ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে আপ হাওড়া-বর্ধমান গ্যালোপিং লোকালের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্ত তা না করে, ট্রেনটি চলে আসে ৪ নম্বরে! শেষ মুহূর্তে ব্রেক কষেন চালক। ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায় ট্রেন! তারকেশ্বর লোকাল থেকে তখন বর্ধমান লোকালের দূরত্ব মাত্র এক ফুট!
ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় অফিস ফেরত যাত্রীদের মধ্যে। সবাই হুড়মুড়িয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। ঘটনার জেরে আপ লাইনে প্রায় এক ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। রেলের আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত যাত্রীরা।
সূত্রের খবর, রেল কর্তারা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, বর্ধমান লোকালের চালক সিগনাল মানেননি। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শ্রীরামপুরের এই ঘটনায় অনেকেরই স্মৃতিতে, ২০১০ সালের ১৯ জুলাইয়ের একটি ঘটনা।
সেবার সাঁইথিয়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা বনাঞ্চল এক্সপ্রেসের পিছনে সজোরে এসে ধাক্কা মেরেছিল উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস! ঘটনায় উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের চালক, সহকারী চালক এবং বনাঞ্চল এক্সপ্রেসের গার্ড-সহ ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তদন্তে উঠে আসে, সিগনাল লাল থাকা সত্ত্বেও, প্রায় নব্বই কিলোমিটার গতিবেগে স্টেশনে ঢুকে পড়েছিল উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস! এদিন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হলেও, আরও একবার প্রশ্নের মুখে পড়ল সরকারের সুরক্ষিত রেল যাত্রার প্রতিশ্রুতি।