পূর্ব মেদিনীপুর:  শেষ দুই ‘কালো’ মেয়ের জীবন। পূর্ব মেদিনীপুরের ভবানীপুরে কালো বলে বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ, চৈতন্যপুরে কালোর গঞ্জনায় আত্মঘাতী ছাত্রী।


জানা গিয়েছে ভবানীপুরের গ্রামে গৃহবধূকে কালো বলে খোঁটা দিতেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই। অন্যদিকে, দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কালো বলে খোঁটা দিতেন তাঁর বাবা।

দুই ঘটনায় দুই ‘কালো’ মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে শোকের ছায়া পূর্ব মেদিনীপুরে।

সাত মাস আগে পূর্ব মেদিনীপুরের ভবানীপুর থানার উত্তর রানিচকের বাসিন্দা মর্জিনা বিবির বিয়ে হয় চকদীপা গ্রামে জাহাঙ্গীর আলি নন্দীর সঙ্গে। দেখাশোনা করে বিয়ে হলেও, অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে কালো বলে, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর ওপর অত্যাচার করতেন। মৃতের পরিবারের দাবি, সোমবার সকালে মর্জিনাকে ঘরে ঢুকিয়ে গায়ে আগুন দিয়ে দেওয়া হয়। যাতে বাইরে বেরোতে না পারেন, তার জন্য দরজায় লাগিয়ে দেওয়া হয় তালা।

ভবানীপুর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে খুনের মামলা। অভিযুক্তরা সবাই পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অন্যদিকে, চৈতন্যপুর গ্রামে অস্বাভাবিক মৃত্যু এক দশম শ্রেণির ছাত্রীর। পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার সকালে বিউটি পার্লারে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে কিশোরী। গায়ের রং কালো বলে, পার্লারে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাবা।

এর কিছুক্ষণ পরেই ঘর থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ।

কালো মেয়ের, কালো হরিণ চোখে মুগ্ধ হন কবি।

কিন্তু সে তো কেবলই কাব্য। বাস্তব যে আজও অন্য কথা বলে তা ফের প্রমাণ করে দিয়ে গেল দু’টি অকালমৃত্যু।