বাঁকুড়া: শেষপর্যন্ত উদয়ন দাসকে হাতে পেল রায়পুর পুলিশ। ৫ দিনের ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ২৫-এ বাঁকুড়া আদালতের তৃতীয় বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গীতা চট্টোপাধ্যায়ের কাছ গোপন জবানবন্দি দেয় উদয়ন। ১২টা ৫০ মিনিটে শেষ হয় প্রক্রিয়া।
দুপুর ২টো নাগাদ ধৃতকে তোলা হয় মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক অরুণকুমার নন্দীর এজলাসে। ৫ দিনের ট্রানজিট রিমান্ড চেয়ে আবেদন জানায় রায়পুর পুলিশ। অন্যদিকে, ফের জামিনের আবেদন করেন উদয়নের আইনজীবী।
শুনানির শুরুতেই আকাঙ্খার আইনজীবী অজিত আখুলি আকাঙ্খার একটি ছবি দেখিয়ে উদয়নের কাছে জানতে চান, এটা কে? উদয়ন জবাব দেয়, আকাঙ্খা শর্মা। উদয়নের আইনজীবী অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চান, তুমি কি আজ বিচারকের সামনে স্বীকারোক্তি দিয়েছ? উত্তরে উদয়ন বলে, হ্যাঁ, আমি আমার অপরাধ স্বীকার করেছি।
এই সময় উদয়নের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারক প্রশ্ন করেন, জামিনের আবেদন করেছেন কেন? উত্তরের মাঝেই আইনজীবীকে বাধা দিয়ে উদয়ন বলে, জামিনের আবেদন করতে চাই না। বিচারক উদয়নের কাছে জানতে চান, তোমার কিছু বলার আছে? উদয়নের সপ্রতিভ জবাব, নতুন কিছু বলার নেই। বুধবার যা বলেছি, আজও সেটাই বক্তব্য।
এরপর রায়পুর পুলিশের ট্রানজিট রিমানন্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।
তবে, উদয়নের ল্যাপটপটি হাতে পাওয়ার জন্য রায়পুর পুলিশ যে আবেদন করেছিল, তা খারিজ করে দেন। বিচারপতি উদয়নকে বলেন, রায়পুর পুলিশ তোমাকে নিয়ে যাবে।
রায়পুরের পুলিশ ইন্সপেক্টরের দিকে তাকিয়ে উদয়ন উত্তর দেয়, জানি, ওনাকে চিনি। রায়পুরে কথা বলে এসেছি।
এরপরই কোর্ট লক আপে নিয়ে যাওয়া হয় ধৃতকে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রায়পুর আদালতে পেশ করতে হবে উদয়ন দাসকে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২ মার্চ।