বাঁকুড়া: আকাঙ্খা শর্মা খুনের তদন্তে বাঁকুড়া পুলিশের হাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তুলে দিল ভোপালের গোবিন্দপুরা থানার পুলিশ। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় আকাঙ্খাকে। ঘাড়, কপাল, গাল ও থুতনিতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যা দেখে পুলিশের অনুমান, খুনের সময় ধস্তাধস্তি হয়ে থাকতে পারে। ঘুমের ওষুধে আছন্ন করে খুন, নাকি অন্য কিছু? জানতে ভিসেরা পরীক্ষা হবে। ডিএনএ-রও নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, ভোপালের সাকেতনগরের বাড়ি থেকে উদ্ধার দেহটি কমপক্ষে ৩ মাসের পুরনো। অ্যাডিপোজ অবস্থায় রয়েছে দেহটি। অর্থাৎ কঙ্কালে পরিণত হওয়ার আগের মুহূর্ত।
সূত্রের খবর, আকাঙ্খার ময়না তদন্তের রিপোর্ট যখন পড়ে শোনাচ্ছেন ভোপালের পুলিশকর্মী, তখন পিছনে লক আপে দাঁড়িয়ে কান খাড়া করে তা শোনার চেষ্টা করছিল উদয়ন।
কিন্তু কবে খুন করা হল আকাঙ্খা শর্মাকে? পুলিশ সূত্রে প্রথমে ২০১৬-র ১৪ জুলাইয়ের কথা বলা হলেও এখন তদন্তকারীদের দাবি, ১৪ জুলাই সারারাত আকাঙ্খার সঙ্গে ঝগড়া হয় উদয়নের। তার পরের দিন, ১৫ তারিখ ভোপালের বাড়ি থেকে বেরনোর চেষ্টা করলে, সেদিনই আকাঙ্খাকে খুন করে উদয়ন।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ভোপালে আসার আগে দিল্লির হোটেলে উঠেছিলেন আকাঙ্খা। সেখানে তাঁর তিনটি ব্যাগ রাখা ছিল। তদন্তকারীদের দাবি, খুনের পর ১৬ তারিখ দিল্লির ওই হোটেলে পৌঁছয় উদয়ন। সেখান থেকে ব্যাগ নিয়ে ১৭ তারিখ ভোপালে ফিরে আসে।
এরই সঙ্গে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। পুলিশ সূত্রে খবর, আকাঙ্খার দেহ ভরা ট্রাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ বেরোনোয়, ট্রাঙ্কটি সেলোটেপ দিয়ে মুড়ে দিয়েছিল উদয়ন। ট্রাঙ্কের ৩দিক ঢেকে দিয়েছিল অ্যালুমিনিয়ামের শিট দিয়ে। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই উদয়ন দাস সম্পর্কে একের পর এক তথ্য হতবাক করে দিচ্ছে তদন্তকারীদের।
শ্বাসরোধ করেই আকাঙ্খাকে খুন উদয়নের, বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
11 Feb 2017 07:33 PM (IST)
NEXT
PREV
রাজ্য (states) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -