কলকাতা: রাজ্যজুড়ে বিতর্কের মধ্যেই প্রাথমিক স্কুলে ৪২ হাজার ৪২৯ জনের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশনের আওতায় ৩২ হাজারের বেশি শিক্ষক পদে নিয়োগ হবে কবে?  সে প্রশ্নর উত্তর কার্যত এড়াচ্ছে সরকার। প্রায় একই উত্তর স্কুল সার্ভিস কমিশনেরও।

একাধিক মামলার জেরে এখনও নিয়োগ জট কাটেনি উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক  ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের। এসএসসি সূত্রে খবর, উচ্চ প্রাথমিকে শূন্য পদ প্রায় ১৫ হাজার। ইন্টারভিউ দেওয়ার কথা ১ লক্ষ ২১ হাজার পরীক্ষার্থীর। মাধ্যমিক স্তরে শূন্য পদ প্রায় সাড়ে ১০ হাজার। লিখিত পরীক্ষায় বসেছেন ১ লক্ষ ৪৩ হাজার। উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ৩৬টি বিষয়ে শূন্য পদ ৭ হাজার। সেখানেও লিখিত পরীক্ষার্থী ১ লক্ষ ৫৩ হাজার। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ বাকি। উচ্চ প্রাথমিকে বাকি ইন্টারভিউ।

এই ৩২ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগের কী হবে?  প্রশ্নের মুখে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, তিনি কিছু বলতে পারছেন না।

শিক্ষামন্ত্রীই গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় বলেছিলেন, আগামী ১৫ মার্চের মধ্যেই রাজ্যে স্কুল শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। সব মিলিয়ে নিয়োগ করা হবে ৭২ হাজার শিক্ষক।

তাহলে কি আইনি জটে অনিশ্চয়তায় ৩২ হাজারের বেশি শূন্য পদে নিয়োগের ভবিষ্যত্‍? জল্পনা উসকে দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনও। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য বলেছেন, এখনই এনিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।

কিন্তু কেন এই জটলতা?

সরকারি সূত্রে খবর, মিমাংসার অপেক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন।

রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া বিএড ডিগ্রি গ্রাহ্য কিনা?

কর্মরত শিক্ষকরা একই স্কেলে আবেদন করতে পারবেন কি না?

১০ শতাংশ আসন পারর্শ্ব শিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ার ফলে শিক্ষাবন্ধু, শিক্ষামিত্র, সম্প্রসারকদের কী হবে?

এমনই নানা প্রশ্নে আইনি জটে উচ্চ প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে নিয়োগের ভবিষ্যৎ। একাধিক মামলার জন্য অবশ্য, শিক্ষামন্ত্রী দায় চাপিয়েছেন, বিরোধীদের ওপর।

তাহলে, ১৫ মার্চের মধ্যে আদৌ কি সম্ভব নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা?

প্রাথমিকে ৪২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে শোরগোল, তখন বাকি ৩২ হাজারের নিয়োগের নিশ্চয়তা মিলছে কোথায়? প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের।