ভাস্কর ঘোষ, বেলুড়: টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হাওড়ার বেলুড় স্টেশনের আন্ডারপাস। তার জেরে রাস্তার যাতায়াত এখন রেললাইনে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলছে লাইন পারাপার। আন্ডারপাস জলমগ্ন হয়ে থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাসপাতালমুখী মানুষদের। দ্রুত জল নিষ্কাশনের আশ্বাস দিয়েছে রেলকর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকতেই জল দুর্ভোগের চেনা ছবি ফিরল হাওড়ার বেলুড়ে। লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন বেলুড় স্টেশনের আন্ডারপাস।শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সংযোগস্থল এভাবে জলবন্দি হয়ে যাওয়ায়, রাস্তার ভিড় উঠে এসেছে রেললাইনে। নিত্যদিনের কাজের তাগিদে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলছে লাইন পারাপার।আন্ডারপাস জলরুদ্ধ হয়ে পড়ায়, দুধের ক্যান থেকে সাইকেল, স্টেশনের ধাতব বেড়া টপকে একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মাঝি বলেন, পুলের তলায় জল জমে গিয়েছে। সাইকেল নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে। অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। প্রাইভেট কাজ করি। লাইন টপকে যেতে হয়। ডোমজুড়ের বাসিন্দা ছোটন রায়, রেললাইনের ওপর দিয়ে লোকে যাতায়াত করছে কত অসুবিধা করে। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘতটে পারে। সব বয়সের মানুষ আছেন। হাসপাতালে যাওয়ায় সমস্যা এমার্জেন্সি হলে। জিটি রোড ছাড়া কোনও গতি নেই আমাদের।
হাওড়া জেলার বালি বিধানসভার সঙ্গে ডোমজুড় বিধানসভাকে সড়কপথে জুড়েছে বেলুড় স্টেশনের আন্ডারপাস। সাঁপুইপাড়া, নিশ্চিন্দা এলাকার বাসিন্দাদের চিকিৎসার জন্য স্টেশন লাগোয়া বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালই সবচেয়ে বড় ভরসা। প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসা থেকে করোনার ভ্যাকসিনেশন সবই চলছে সেখানে। আন্ডারপাস জলে ডুবে যাওয়ায়, চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাসপাতালমুখী মানুষকে।
বেলুড়ের টোটোচালক বিশ্বনাথ যাদবের বক্তব্য, এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের খারাপ অবস্থা। ট্রেন, বাস চলছে না। আমরা টোটোয় নিয়ে যাই। যাঁরা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন বিপদ হাতে নিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে। এবিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, আমাদের দুটো পাম্প চালানো হয়েছে। অবিলম্বে জল বের করার ব্যবস্থা চলছে। ওটা লোল্যান্ড এলাকা। ভরা কটাল বা জোয়ারে গঙ্গার জল আসে। এটা একটা সমস্যা। অবিলম্বে ইভাকুয়েশনের ব্যবস্থা করছি।