সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ছেলের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে বউমা। ওই মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়ে এই মর্মে অভিযোগ জানিয়েছেন মধ্যমগ্রামের এক প্রবীণ দম্পতি। হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলরের স্বামী।
একমাত্র ছেলে অকালে চলে গেছে! আর পুত্রশোকের মধ্যেই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর হুমকির মুখে প্রবীণ দম্পতি। উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে।
মধ্যমগ্রাম পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সমীর চট্টরাজ ও তাঁর স্ত্রী রিনা চট্টরাজ। গত ৩১ জানুয়ারি তাঁদের বাড়ি থেকে একমাত্র সন্তান জর্জ চট্টরাজের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ১ ফেব্রুয়ারি মধ্যমগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে চট্টরাজ পরিবার।
FIR-এ ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য পুত্রবধূ রমা মুখোপাধ্যায় চট্টরাজের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনেন প্রবীণ দম্পতি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুত্রবধূকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
চট্টরাজ দম্পতির অভিযোগ, তার পর থেকেই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী তাঁদের শাসাতে শুরু করেন। মৃতের পরিবারের আইনজীবী অরিজিৎ রায় জানান, পরিবার অত্যন্ত আতঙ্কে রয়েছে এখন ৷ জর্জের বাবা সমীর চট্টরাজ জানান, ‘‘কাউন্সিলরের স্বামী হুমকি দিচ্ছে...ছেলের বৌ প্রভাব খাটিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করছে ৷’’
হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী তাপস দাস ৷ তিনি বলেন, ‘‘বাজে কথা। আত্মহত্যা করেছে। আমরা কোনও হুমকি দিইনি ৷’’ বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য ‘‘পুলিশ শাসকদলের পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করে ৷’’
FIR-এ বৌমার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ করলেও, পুলিশ সুপারকে দেওয়া চিঠিতে সরাসরি খুনের অভিযোগ করেছেন চট্টরাজ দম্পতি।