সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় ও হিন্দোল দে,: পুলিশ কর্তার মেয়ের মোবাইল নম্বর অন্য মহিলার ছবির সঙ্গে জুড়ে সোশাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট। অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তরুণীর পরিবারের। ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা কার্যত স্বীকারই করে নিয়েছেন তৃণমূল নেতা।


বাবা পুলিশের বড় কর্তা। তাঁরই মেয়েকে দিনের পর দিন হেনস্থার অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতার ছেলে। পুলিশ কর্তার মেয়ের মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি পোস্ট। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তরুণীর পরিবারের। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তরুণীর অভিযোগ, অন্য মহিলার ছবির সঙ্গে তাঁর মোবাইল ফোনের নম্বর জুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট করেন প্রাক্তন সহপাঠী। প্রথম দিকে বিষয়টিতে বিশেষ আমল না দিলেও, তারপর প্রতিদিন অজস্র ফোন আসতে থাকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বটেই বিদেশ থেকেও কুপ্রস্তাব দিয়ে ফোন আসে। 


ওই অভিযোগকারিণী বলেন, আপত্তিকর ছবির সঙ্গে ফোন নম্বর যুক্ত করে আপলোড করছে, প্রথমে গুরুত্ব দিইনি। পরে দেখি গ্রুপ থেকে বেরিয়ে এলেও এসব চলছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন আসতে থাকে। বিদেশ থেকেও ফোন আসে। বিভিন্ন প্রস্তাব দেওয়া হয়। মানসিক অবসাদের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে যাই। কিন্তু দেখি অভিযুক্ত বহাল তবিয়তে রয়েছে।


অভিযোগকারিণীর মায়ের দাবি, জুন মাসের শুরুর দিকে বিধাননগর কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু প্রায় ১ মাস কেটে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগকারিণীর মা বলেন, অভিযোগ নিয়ে যাই, কিন্তু পুলিশ নিজের মতো লিখে নেয়, স্বামী পুলিশ তাও ব্যবস্থা নেয়নি। কাল ওরা থানায় এসেছিল। আমাকে হুমকি দেয়, একমাস কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।


ঘটনার কথা কার্যত মেনে নিয়েছেন অভিযুক্তের বাবা। যিনি আবার উত্তরপাড়া কোতরং পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কো অর্ডিনেটরও বটে। তাঁর দাবি, বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে পুলিশ তাঁদের ডেকে পাঠায়। তিনি তৃণমূল নেতা হিসেবে কোনও প্রভাব খাটাননি। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, মেয়ের বাবা পুলিশ অফিসার তিনিই প্রভাব খাটাতে পারেন।