শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: ফের ভ্যাকসিন বিক্ষোভ। অভিযোগ, মোবাইল ফোনে মেসেজ আসা সত্ত্বেও মিলল না কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ। 


হয়রানির শিকার হওয়ায় হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান ভ্যাকসিন গ্রাহকরা। কোচবিহারের পুলিশ হাসপাতালে রবিবার কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিনেশনের কথা ছিল। গ্রাহকদের দাবি, এদিন সকালেও তাঁরা মেসেজ পেয়েছেন। কিন্তু হাসপাতালে এসে দেখেন, ভ্যাকসিনেশন বন্ধ। নোটিসে জানানো হয়েছে, সোমবার পুলিশ হাসপাতাল সংলগ্ন একটি স্কুল থেকে টোকেন দেওয়া হবে। সেই টোকেন দেখিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে। 


এ সব দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রাহকরা।  শুরু হয় বিক্ষোভ। ভ্যাকসিন গ্রাহক  দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলছেন,আজকে সকালেও মেসেজ এসেছে। এখানে এসে দেখছি কেউ নেই। আমাদের কেন অন্ধকারে রাখা? কেন এই হ্যারাসমেন্ট?  কার্যত লকডাউনে মানুষ কষ্টকরে এসেছেন। তাঁরা আবার কী করে আসবেন? 


কোচবিহার সদরের মহকুমা শাসক রকিবুর রহমান জানিয়েছেন, কো উইন অ্যাপে মেসেজ এসেছে। সবাই একসঙ্গে চলে আসায় ভিড় হচ্ছে।  আমরা ঠিক করেছি স্লট বুক করে পাশের স্কুল থেকে টোকেন দিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কারও কারও কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় পেরিয়ে গেছে। তাঁদের প্রশ্ন, সোমবারও ভ্যাকসিন মিলবে তো?


করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এর ঝড় কাটতে না কাটতেই তৃতীয় ঢেউ-এর আশঙ্কা বাড়ছে। এই অবস্থায় ভ্যাকসিনেশনই একমাত্র রাস্তা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজ্যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ। তবে পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় খানিক বেগ পেতে হচ্ছে গ্রাহকদের। যদিও টিকা নিয়ে তৎপর সকলেই। 


অন্যদিকে হিসেব বলছে রাজ্যে সামান্য কমেছে দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৯৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ২২৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। কলকাতায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৬। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।


আজ, শনিবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৯৪। সুস্থতার হার ৯৭.৩৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৩২।