গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: খয়রাশোল ব্লকের ভাদুলিয়া কয়লা খনিতে শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে বন্ধ উত্তোলনের কাজ। জানা গিয়েছে এই কয়লাখনিতে একটি বেসরকারি সংস্থা কয়লা উত্তোলন করে, সেই সংস্থা প্রায় ১৮০ জন শ্রমিক তাদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবারের লোকেরা এসে বিক্ষোভ দেখান সংস্থার কার্যালয়ে।


তাঁদের বক্তব্য কেন্দ্রের নির্দিষ্ট কয়লা খনি শ্রমিকদের বেতন অনুযায়ী তাদের বেতন দিতে হবে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য বারবার বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। তাই আজ পরিবারের লোকের সঙ্গে নিয়েই বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বেতন বাড়ানোর না পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে বলেই জানিয়েছেন শ্রমিকেরা। এ প্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।


উল্লেখ্য গতমাসে মালিকানা হস্তান্তরের জেরে আইনি জটিলতায় এক চা বাগানের পরিচালককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রণক্ষেত্রর চেহারা নিল আলিপুরদুয়ার। এদিন সন্ধ্যায় উত্তেজনা ছড়ায় পড়ে কোহিনূর চা বাগানে। ক্ষিপ্ত শ্রমিকরা চা বাগানের বর্তমান পরিচালক ওমপ্রকাশ আগরওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে শামুকতলা থানা ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন। 


পরিস্থিতি সামাল দিতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। রাত ১০-টা নাগাদ পুলিশ লাঠিচার্জ করার চেষ্টা করলে, পাল্টা আক্রমণ শুরু করে শ্রমিকরা। চতুর্দিক ঘিরে থানা লক্ষ্য করে প্রবল ইটবৃষ্টি শুরু করে ক্ষিপ্ত চা বাগান শ্রমিকরা। পাল্টা জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। 


সূত্রের খবর, আনুমানিক ২৫টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। শামুকতলা থানা চত্বর প্রায় রণক্ষেত্রর চেহারা নেয়। ইটবৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে পুলিশকে থানার পেছনেও আশ্রয় নিতে দেখা যায়।


অন্যদিকে জলপাইগুড়িতে দলের শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। পাশে পেলেন বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম নেতাদেরও। নজিরবিহীন ঘটনা জলপাইগুড়ির মেটেলিতে। তৃণমূল সদস্যকে শোকজ করে জেলা নেতৃত্ব। একই অভিযোগে সরব হয় তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম নেতারা। এক জায়গায় উড়ছে ঘাসফুল, পদ্ম, হাত, কাস্তে-হাতুড়ির পতাকা। মতাদর্শের দিকে থেকে যখন ভিন্ন মেরুতে রয়েছে চার দল, তখন এমনই বিরল দৃশ্য ধরা পড়ল জলপাইগুড়িতে।