বসিরহাট: থমথমে বসিরহাট আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল শুক্রবার। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ ঘিরে ফের অশান্তি ছড়াল বসিরহাটে। পরিবেশ ভারী হয়ে উঠল লোকজনের চিৎকার, বোমা-গুলির শব্দে।
এদিন সকাল থেকেই বসিরহাটের রাস্তা পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়। এর মধ্যেই দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ হঠাৎ ত্রিমোহিনী মোড়ের কাছে অশান্তি ছড়ায়। নতুন করে সংঘর্ষ বাধে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। বোমা-গুলিও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তড়িঘড়ি ওই এলাকায় বাহিনী পাঠানো হয়।
কিন্তু, তাতেও পরিস্থিতি পুরোপুরি ঠান্ডা হয়নি। তাই শেষমেশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। এই ঘটনার খবর চাউর হতেই নতুন করে অশান্তি ছড়াতে শুরু করে ময়লাখোলা, টাকি রোডের মতো এলাকাতেও।
সকালের দিকে কিছু দোকানপাট খুললেও, দুপুরের অশান্তির পর ফের তা বন্ধ হয়ে যায়। লোকজন ভয়ে বাড়ির ভিতর ঢুকে যান। শুনসান হয়ে যায় রাস্তা। এমনিতেই লাগাতার অশান্তির জেরে বসিরহাটের জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত। বন্ধ স্কুল থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
দোকান-বাজার বন্ধ থাকায় তৈরি হয়েছে খাবারের সঙ্কট। এই দমবন্ধ দশার মধ্যে আর কতদিন কাটাতে হবে, তা ভেবে পাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।
অন্যদিকে, অশান্তি নিয়ে চলছে রাজনৈতিক তরজাও। তৃণমূলের দাবি, ১৪৪ ধারা শেষ হলেই তারা এলাকায় শান্তি মিছিল করবে। এদিন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ১৪৪ ধারা শেষ হলেই তৃণমূল শান্তি মিছিল করবে। হিন্দু, মুসলমান দুই সম্প্রদায় পাশাপাশি থাকবে। সব দলকে থাকতে অ্যাপিল। বাদুড়িয়া, বসিরহাট, স্বরূপনগরে হবে। ৫০ হাজার লোকের মিছিল।
বিজেপি অবশ্য এদিন ফের ৩৫৬ ধারা জারির দাবি জানিয়ে সুর চড়িয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, কাল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ৩৫৬ ধারা জারির দাবি জানাব। সব মিলিয়ে অশান্তি ঘিরে রাজ্য রাজনীতিও ফুটছে।