উত্তর দিনাজপুর: শুক্রবারের পর শনিবারেও উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ। বিভিন্ন রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ব্যবসায়ীরা। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসা। বিক্ষোভের মুখে পড়লেন খোদ পুলিশ সুপার! ব্যবসায়ীদের ডাকা অনির্দিষ্টকালীন বনধের জেরে এভাবেই দিনভর উত্তেজনা ছড়াল রায়গঞ্জ শহরে।
গত ৯ জুলাই বিজেপির ডাকা বনধের দিন রায়গঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের প্রতীক্ষালয়ে, ২ নাবালিকা-সহ ৪ আদিবাসী মহিলাকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ৫ যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ৩ জন ধরা পড়লেও, এখনও ফেরার ২ অভিযুক্ত।
এর জেরেই শুক্রবার রণক্ষেত্র ‍হয়ে ওঠে রায়গঞ্জের বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড। সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে, এই দাবিতে, এলাকায় তাণ্ডব চালান আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। আগুন লাগানো হয় একের পর এক দোকানে। চলে ভাঙচুর।
এই হামলার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবসা বনধের ডাক দিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি। শুক্রবারের ঘটনায় দর্শকের ভূমিকা পালন করলেও, শনিবার সক্রিয় ছিল পুলিশ। যা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন ব্যবসায়ীরা। ওয়েস্ট দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর কুণ্ডু বলেন, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে বনধ। পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা রাজ্য সরকার। রায়গঞ্জ শহরের প্রায় সব দোকানপাটই এদিন বন্ধ ছিল। রাস্তাঘাট ছিল শুনশান।