কলকাতা: ভোট ঘিরে অশান্তির সেই চেনা ছবি। রাজ্যের ৬ পুরসভায় ধুন্ধুমার দিনভর। পুরভোট ঘিরে এদিন বেশি অশান্তি হয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে। সেখানে যেমন উঠেছে দেদার বোমাবাজি ও গুলি চালানোর অভিযোগ। তেমনই রক্ত ঝরেছে পুলিশের। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক বাইকে। বুথের ভিতরে তাণ্ডব চালিয়েছে বহিরাগতরা।
বীরভূমের নলহাটি পুরসভাতেও সকাল থেকেই ছিল বহিরাগতদের দাপাদাপি। নলহাটির ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে অস্ত্র দেখিয়ে ইভিএম লুঠের অভিযোগ ওঠে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। আতঙ্কে পুকুরে ঝাঁপ দেন কয়েকজন ভোটার। প্রাণভয়ে দৌড়ে পালাতে দেখা যায় বহু মহিলা ভোটারকে।
বহিরাগতদের দাপাদাপির অভিযোগ উঠেছে, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া পুরসভাতেও। এদিন সকালে হলদিয়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাম প্রার্থীকে মারধর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ৩ ঘণ্টা আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে সন্ত্রাসের অভিযোগে ভোট বাতিলের দাবি জানায় বামেরা। ভোট বাতিলের দাবি তুলেছে বিজেপিও।
পুরভোটে অশান্তি হয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের আরেক পুরসভা পাঁশকুড়াতেও। ১ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৬ নম্বর বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে ইভিএম ভেঙে দেন বাম প্রার্থী। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও সব অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিরোধীদের কোথাও কোনও দেখা নেই।
অন্যদিকে, নদিয়ার কুপার্স ক্যাম্প পুরসভায় ধুন্ধুমার বাধে ১৮৭ নম্বর বুথে। তৃণমূল কর্মীকে সপাটে চড় মারেন নির্দল প্রার্থী। এছাড়াও, ১, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে দেদার ছাপ্পার অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুললেও, উল্টো দাবি প্রিসাইডিং অফিসারের।
প্রথম পুরভোটেই অশান্তি, দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর পুরসভাতেও। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রের মধ্যেই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি বেধে যায়।
রাজ্যের ৬ পুরসভায় যখন অশান্তির ছবি ধরা পড়েছে, তখন ব্যতিক্রমী জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি। বৃষ্টির কারণে সকালে ধীর গতিতে ভোট চললেও, বেলার দিকে বুথে বুথে দেখা যায় লম্বা লাইন। আপাতত ভোট হয়েছে ধূপগুড়ির ১৪টি ওয়ার্ডে। জলমগ্ন থাকায় ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ৬টি বুথে ভোট হবে আগামী ১৬ অগাস্ট!