কলকাতা: তিনদিন ধরে নাগাড়ে চলেছে বৃষ্টি। ভাসছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশ। আর তা নিয়ে ফের রাজ্য ও ডিভিসি-র মধ্যে শুরু হয়েছে তরজা। সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, পাঞ্চেত জলাধারের জলস্তর পূর্ণ ধারণ ক্ষমতা ছোঁয়ার আগেই সেখান থেকে জল ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
ডিভিসি এরাজ্যে দু’টি বাঁধ থেকে জল ছাড়ে-- পাঞ্চেত ও মাইথন। সেই জল আসে দুর্গাপুর ব্যারাজে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় দামোদরের জল। দুর্গাপুর ব্যারাজ ডিভিসি-র হলেও, এখান থেকে জল ছাড়ে সেচ দফতর। সেচ দফতর সূত্রে দাবি, পাঞ্চেত ও মাইথন থেকে জল ছাড়া হলে সেক্ষেত্রে তাদের আর কিছু করার থাকে না। বাধ্য হয়ে তাদেরও দুর্গাপুর ব্যারাজের লকগেট খুলতেই হয়।
মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা অবধি এখান থেকে ৯২ হাজার ৭৩৪ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সেচমন্ত্রীর দাবি, ডিভিসি তাদের না জানিয়ে জল ছাড়ার ফলেই রাজ্যের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।
ডিভিসি সূত্রে অবশ্য দাবি, সবার উপরে কেন্দ্রীয় জল কমিশন৷ তার অধীনে রয়েছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের মতো একাধিক কর্পোরেশন৷ প্রতিটি কর্পোরেশন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে৷
সেই কমিটিই সিদ্ধান্ত নেয়, জল ছাড়া হবে কি হবে না৷ সেইমতো ডিভিসির জল ছাড়া বিষয়ক কমিটিতে রয়েছেন ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ এবং ডিভিসির প্রতিনিধিরা৷ এই প্রেক্ষিতে সেচমন্ত্রীর অভিযোগের পাল্টা ডিভিসি কর্তৃপক্ষের দাবি, রাজ্য সরকারকে জানিয়েই জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে সেচ দফতরে কন্ট্রোল রুম তৈরি হয়েছে। সেখানে থাকছেন খোদ মন্ত্রী। এদিনও ঝাড়খণ্ড সরকার ও ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে জল না ছাড়তে অনুরোধ করেছেন সেচ দফতরের সচিব নবীন প্রকাশ। পাশাপাশি সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনকেও চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। দিল্লি থেকে সর্বক্ষণ পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।