নয়াদিল্লি: দার্জিলিঙে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি খতিয়ে দেখার জন্য কমিটি গঠনের কোনও প্রস্তাব নেই বলে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ আহির বলেন, গোর্খা, আদিবাসী ও অন্যদের দাবির ভাল-মন্দ বিচার করে দেখতে কমিটি নিয়োগের কথা ভাবা হচ্ছে না।


১২ জুন থেকে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (জিজেএম) ডাকা অনির্দিষ্টকালের বনধে বিপর্যস্ত পাহাড়ের জনজীবন। জিজেএমের আন্দোলনে হিংসা, সরকারি সম্পত্তির ওপর হামলা, ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে জানিয়ে দেন, সংবিধান অনুসারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব রাজ্য সরকারের।

এদিকে পাহাড়ে ইন্টারনেট পরিষেবায় বহাল নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ৪ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হল। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে গত ৪১ দিনের আন্দোলন মোকাবিলা, হিংসা অশান্তি ছড়িয়ে পড়া রুখে দেওয়ার কথা বলে সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। প্রথম সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয় গত ১৮ জুন। ফের তার মেয়াদ বাড়ল আজ।

গতকালই পাহাড়ের স্কুলগুলির শিক্ষকরা জেলা শাসকের কাছে ইন্টারনেট পরিষেবা ফের চালু করার দাবি করেছিলেন। দার্জিলিং টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে জানান, ইন্টারনেট পরিষেবা সচল না থাকার ফলে ক্লাস নাইনের পড়ুয়ারা বোর্ড পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করতে পারছে না।

গতকাল ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরানোর দাবিতে মিছিল করেন শিক্ষকরা। কিন্তু পাহাড়ের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে নাকচ করে দেওয়া হয় সেই দাবি। তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, পড়ুয়াদের শিলিগুড়ি গিয়ে ফর্ম পূরণ করার বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।