ঝিলম করঞ্জাই


এই শতকের শেষেই গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা ব-দ্বীপ অঞ্চলে, ১.৪ মিটার পর্যন্ত জলস্তর বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রভাব পড়বে পূর্ব ভারত আর বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অংশে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষক-বিজ্ঞানীরা। মার্কিন জার্নাল প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্র।


চোখ রাঙাচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। গলছে হিমবাহ। বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর। বাড়ছে ভাঙন। বৃদ্ধি পাচ্ছে প্লাবনের আশঙ্কাও!



গবেষকদের সতর্কবার্তা, সভ্যতার সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ জলবায়ু পরিবর্তন আর বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে উদ্বিগ্ন। ঠিক এই মুহূর্তে সামনে এসেছে আমেরিকার প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস শীর্ষক এক জার্নালের প্রতিবেদন। সেখানে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা ব-দ্বীপ এলাকায় জলস্তর পরিবর্তন সংক্রান্ত এক গবেষণাপত্রে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

এই শতকের শেষে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র এবং মেঘনা - এই তিন ব-দ্বীপ এলাকায়, ১.৪ মিটার পর্যন্ত জলস্তর বৃদ্ধি পাবে। যার প্রভাব অত্যন্ত উদ্বেগের বলেই মনে করছেন গবেষকরা!

 


মার্কিন জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র এবং মেঘনা ব-দ্বীপ অঞ্চলে জলস্তর এভাবে বাড়লে, তার প্রভাব পড়বে পূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অংশে। বিপদ বার্তা কলকাতার জন্যও।


তিন ব-দ্বীপ অঞ্চলে জলস্তর বৃদ্ধির হার ক্রমান্বয়ে নথিভূক্ত করেছেন গবেষকরা। জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৬৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত, এই ৩ ব-দ্বীপ অঞ্চলে, প্রতি বছরে গড়ে ৩ মিলিমিটার করে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে সার্বিকভাবে এই সময়ের মধ্যে, বিশ্বে সমুদ্রে জলস্তর বৃদ্ধির পরিমাণ প্রতি বছর গড়ে ২ মিলিমিটার।



প্রকৃতির এই পরিবর্তনের জন্য গবেষকরা দু’টি কারণ উল্লেখ করেছেন, প্রথমত- হিমশৈলগুলি দ্রুত গলে যাচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য। দ্বিতীয়ত- নদীর বাঁধ বসে যাওয়া এবং ভাঙনের জেরে জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।  ফি বছর ভারত-বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অংশ প্লাবিত হয়। ক্ষয়ক্ষতি হয় প্রচুর। এরই মধ্যে বিশ্ব উষ্ণায়নের চোখ রাঙানি উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে। যা নিয়ে চিন্তিত রাষ্ট্রপুঞ্জও।