WB Corona LIVE: রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ ১৮ হাজার ২৪৩ জন
West Bengal Coronavirus LIVE Updates: আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ তারকেশ্বর মন্দির>
গত ২৪ ঘণ্টা সময়পর্বে রাজ্যে করোনাযুদ্ধ জয় করেছেন ১৮ হাজার ২৪৩ জন। যার ফলে এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনাকে জয় করা রাজ্যবাসীর শতকরা হার ৮৫.৮৯ শতাংশ।
শনিবার প্রকাশিত রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে পড়েছেন ১৯ হাজার ৪৩৬ জন। এই সময়পর্বে রাজ্যে একদিনে করোনায় ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নেই বেড, জরুরি বিভাগেই ছটফট করতে করতে মৃত্যু করোনা রোগীর! সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে স্ট্রেচারেই ছটফট করতে করতে মৃত্যু রোগীর।
সকাল ১০টায় হাসপাতালে এসেও বেড মেলেনি, অভিযোগ পরিবারের।
করোনাকালে চন্দ্রকোণার ক্ষীরপাইয়ে অমানবিক ছবি। দু’দিন ধরে রাস্তার ধারে পড়ে থেকে মৃত্যু অসুস্থ মহিলার। করোনা সন্দেহে সাহায্যের জন্য এগিয়ে গেলেন না কেউ। দু’দিন পর আজ মহিলাকে উদ্ধার করেন ক্ষীরপাই থানার আইসি। ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই মৃত্যু মহিলার। করোনা পরীক্ষার জন্য মৃতের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে
নিউ মার্কেট খুলে দিল পুরসভা। বিকেল ৫টা থেকে খুলে গেল নিউ মার্কেট। নিউ মার্কেটকে মলের আওতা থেকে বাদ দিল পুরসভা। আংশিক লকডাউনের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী খোলা থাকবে নিউ মার্কেট।
করোনায় মৃত্যু হলে শর্তসাপেক্ষে দেহ সৎকারের অনুমতি পরিবারকে। ‘মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া যাবে না’। ‘সরাসরি হাসপাতাল থেকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া যাবে’। ‘মৃতদেহ সৎকারের বিষয়টি দেখভাল করবেন নোডাল অফিসার’। নতুন নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর।
করোনাকালে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে ভয়াবহ অবস্থা। ভর্তি বেড, জরুরি বিভাগে কাতারে কাতারে রোগী। জরুরি বিভাগের সামনেই মেঝেয় পড়ে ছটফট করছেন রোগী! একই চ্যানেল দিয়ে একজনের পর একজন রোগী অক্সিজেন নিচ্ছেন।‘১০ বেডের অক্সিজেন পার্লারের একটিও খালি নেই’। আমরা নিরুপায়, জানালেন হাসপাতাল সুপার।
অক্সিজেনের কালোবাজারি রুখতে বাঁকুড়ায় অভিযান। একাধিক অক্সিজেন ডিলারের দোকানে হানা। যৌথ অভিযান পুলিশ ও ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের আধিকারিকদের। অক্সিজেন সরবরাহ ও বিক্রি সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। বাড়তি সিকিউরিটি ডিপোজিট জমা রাখায় ডিলারদের সতর্কবার্তা
করোনাকালে ফের বন্ধ হল তারকেশ্বর মন্দিরের দরজা। দর্শনার্থীদের জন্য আজ থেকে বন্ধ তারকেশ্বর মন্দির। আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ তারকেশ্বর মন্দির
কোভিড রোগী ভর্তিতে বিলম্ব এড়াতে পদক্ষেপ। কোভিড সন্দেহে ভর্তি হওয়ার আগে আবশ্যিক নয় কোভিড রিপোর্ট। সন্দেহজনক রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ডের সংখ্যা বাড়াতে হবে। কোনওভাবেই ফেরানো যাবে না কোনও রোগীকে। অন্য শহরের বাসিন্দা রোগীকেও ফেরানো যাবে না। রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি অনুযায়ী নির্ধারিত হবে ভর্তির সময়। রিপোর্ট আসা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় চিকিত্সা চালিয়ে যেতে হবে। সংশোধিত নির্দেশিকা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের।
অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগী মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ধুন্ধুমার। হাসপাতাল ভাঙচুর। অভিযোগ রোগীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। আজ দুপুরে উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দুই করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, অক্সিজেনের অভাবেই রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এরপরই হাসপাতাল ভাঙচুর করে মৃতের আত্মীয়রা। পুলিশকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
করোনা প্রাণ কাড়ল রাজ্যের আরও এক চিকিৎসকের। মৃত্যু হল চিকিৎসক ও এইচআইভি গবেষক স্মরজিৎ জানার। করোনা আক্রান্ত পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৬৮ বছর বয়সী ওই চিকিৎসক। আজ সকাল ১১টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় দুঃপ্রকাশ করে ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যৌনকর্মী এবং সমাজে ব্রাত্য মহিলাদের সাহায্য করার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
সকাল ১০টা পরেও খোলা জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি বাজার। ভিড়ে উধাও দূরত্ব বিধি। মাস্ক ছাড়াই বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতারা। পুলিশি নজরদারি চোখে পড়েনি। ধূপগুড়ি সুপার মার্কেটেও একই ছবি। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ধূপগুড়িতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। একদিনে সংক্রমিত ৪৬ জন।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভ্যাকসিন-বিক্ষোভ। আজ ১০০ জনকে কোভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকেই টিকা পাননি। কোভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে হাসপাতালের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিক্ষোভ চলে। যদিও বেনিয়মের অভিযোগ মানতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকেই নিজের পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য টোকেন সংগ্রহ করছেন, সেই কারণেই এই ঘটনা। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, হাসপাতালের তরফে প্রতিদিন ১০০ জনকে কোভ্যাকসিন ও ২০০ জনকে কোভিশিল্ড দেওয়া হচ্ছে।
গড়িয়ার কামালগাজি মোড়ে বাসে বাদুড়ঝোলা ভিড়। সকাল থেকে বাসের অপেক্ষায় যাত্রীরা। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বাস এলে ঠেলাঠেলি করে উঠছেন তাঁরা। উধাও দূরত্ব বিধি।
লেক মার্কেটে অসচেতনতার ছবি। বিক্রেতাদের কারোর মুখে মাস্ক নেই, কারোর আবার থুতনিতে মাস্ক। ক্যামেরা দেখে মাস্ক পরে নেওয়ার চেষ্টা করলেন কেউ কেউ। কেউ সাফাই দিলেন দোকান খোলার জন্য মাস্ক খুলেছেন, কেউ আবার চা খাওয়ার যুক্তি খাড়া করলেন।
২-১টি বাদে ভ্যাকসিনের অভাবে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে বন্ধ টিকাকরণ। ভ্যাকসিনের জোগান স্বাভাবিক করার অনুরোধ করে সরকারের কাছে আবেদন করেছিল হাসপাতালগুলি। রাজ্য সরকার এদিন ১৭৩টি বেসকরারি হাসাতালকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষিত নীতি অনুযায়ী, রাজ্য সরকার কোনও বেসরকারি হাসপাতালকে ভ্যাকসিন দিতে পারবে না। বহু মানুষ ইতিমধ্যেই বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজের জন্য ভিড় জমাচ্ছেন। কলকাতা পুরসসভার ১৬টি বরোর ১৪৫টি ভ্যাকসিনেশন সেন্টারের তালিকা দেওয়া হল। যাঁরা বেসরকারি হাসপাতালে আসবেন, তাঁদেরকে জানিয়ে দিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ কোথায় কোথায় পাওয়া যাচ্ছে।
ডবল ডোজ ভ্যাসকিসনের পর করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবার সিঙ্গল ডোজ। ভারতে প্রথম শুরু হতে চলেছে মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসনের কোভিড ভ্যাকসিন ‘জ্যানসেন’-এর ক্লিনিকাল ট্রায়াল। সূত্রের খবর, দেশের ৬ জায়গায় হবে ‘জ্যানসেন’-এর ট্রায়াল। তার মধ্যে রয়েছে শহরের পিয়ারলেস হাসপাতাল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মিলেছে এথিক্স কমিটির ছাড়পত্র। ট্রায়াল হবে ১০০জনে স্বেচ্ছাসবকের ওপর।
করোনা মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিক কেন্দ্র। এই আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। দেশজুড়ে ভ্যাকসিনেশনের অভিন্ন নীতি এবং ভ্যাকসিন বণ্টন রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈষম্য যাতে না হয় তার আবেদন জানানো হয়েছে। এই মুহূর্তে কোভিশিল্ডের ডোজপিছু কেন্দ্রের থেকে ১৫০ টাকা, রাজ্যের থেকে ৩০০ টাকা ও বেসরকারি হাসপাতালের থেকে ৬০০ টাকা নেয় পুণের সিরাম ইন্সিটিটিউট। কোভ্যাকসিনের প্রতি ডোজ ভারত বায়োটেক কেন্দ্রের জন্য দাম রেখেছে ১৫০ টাকা, রাজ্যকে বিক্রি করে ৪০০ টাকায় এবং বেসরকারি হাসপাতালের জন্য দাম ১২০০ টাকা।
প্রেক্ষাপট
রাজ্যে বেলাগাম করোনা সংক্রমণ। সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে একদিনে আক্রান্তর সংখ্যা ছাড়াল ১৯ হাজার। টানা চারদিন রাজ্যে মৃত্যু একশোরও বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, পজিটিভিটি হারের নিরিখে গোটা দেশে এখন চতুর্থস্থানে পশ্চিমবঙ্গ।
দেশজুড়ে করোনায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। মৃতের সংখ্যা আড়াই লক্ষের দিকে এগোচ্ছে। বাংলার পরিস্থিতিটাও ভয়াবহ।
ফের একবার করোনা সংক্রমণে বাংলায় রেকর্ড তৈরি হয়েছে। আঠারো হাজার পেরিয়ে এবার এক দিনে ১৯ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত হলেন বাংলায়।
সেইসঙ্গে লাগাতার চারদিন ধরে, রাজ্যে একশোরও বেশি মৃত্যু হচ্ছে। শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১১২ জন রাজ্যবাসীকে হারিয়েছি আমরা।
এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত বাংলায় ১২ হাজার ৭৬ জনের মৃত্যু হল। উদ্বেগ বাড়িয়ে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ২৪ হাজার পেরিয়ে গেল।
পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, পজিটিভিটি হারের নিরিখে গোটা দেশে এখন চতুর্থস্থানে পশ্চিমবঙ্গ।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদন করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে সব রাজ্যের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত।
সেখানে বলা হয়ছে, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রকে প্রত্যেক রাজ্য সরকারকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে হবে। ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈষম্য করা চলবে না। ভ্যাকসিনেশন নিয়ে গোটা দেশে একটি মাত্র নীতি নিয়েই এগোনো উচিত।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -